এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জীর উল্টো সুরে কথা বলা শুরু 4 সাংসদের! বাড়ছে জল্পনা

দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জীর উল্টো সুরে কথা বলা শুরু 4 সাংসদের! বাড়ছে জল্পনা


সম্প্রতি কয়েক দিন আগে হায়দ্রাবাদে সামসাবাদ এলাকায় তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে অবশেষে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে 14 জন যুবকের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে কলেজ ক্যাম্পাস, সড়ক থেকে শুরু করে সংসদ, সবখানেই প্রভাব ফেলে তেলেঙ্গানার গণধর্ষণ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হতে দেখা যায় শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে আইনবিদ, সর্বস্তরের মানুষদেরকেই।

এরই মধ্যে গতকাল ভোররাতে তেলেঙ্গানা পুলিশের তরফে খবর আসে, পুলিশের কাছ থেকে পালানোর চেষ্টা করাতে চারজনকে এনকাউন্টার করেছে তেলেঙ্গানা পুলিশ। আর এর পরেই কার্যত গোটা দেশ থেকে প্রশংসার ঝড় বইতে শুরু করে পুলিশের প্রতি। কিন্তু দোষীদের শাস্তি দেওয়ার এই পদ্ধতিকে সমানভাবে দেখছে না সমাজের সব মহল। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাউন্টারের তীব্র বিরোধিতা করেছেন।

তিনি বলেন, “বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখার প্রয়োজন রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে তিনি ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করে দ্রুত চার্জ দিতে হবে। 10 দিনের মধ্যে কাগজপত্র জোগাড় করতে হবে। একটা জরুরি অবস্থা হিসেবে দেখতে হবে। যে করবে না, তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে।” এনকাউন্টারের এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “এটা আইন নয় যে আইন নিজের হাতে তুলে নিলাম। আইন এটাই যে, পুলিশ তার কাজ করবে, আদালতে পেশ করবে। বিচারক বিচারের কাজ করবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাই বলুন না কেন, গোটা দেশের অন্যান্য মহলের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার সম্পূর্ণ ভিন্ন সুর শোনা গেল তার নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের 4 জন সাংসদের গলায়। এদিন হায়দ্রাবাদের তরুণীর ধর্ষক হিসেবে অভিযুক্তদেরকে পুলিশের এনকাউন্টার প্রসঙ্গে অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “খুব ভালো হয়েছে। অনেকে হয়ত বলবেন, একজন সাংসদ হয়ে কিভাবে আমি বলছি! কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে নারী হিসেবে বলব, একদম ঠিক হয়েছে।”

তিনি স্পষ্ট জানান, “না হলে ওরা আন্ডার ট্রায়েল থাকত। সাত বছর ধরে ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন খেতে যে লোকগুলো ওদের সাপোর্ট দিত, তারা টাকা রোজগার করত। তাই এনকাউন্টার হয়ে খুব ভালো হয়েছে।” এদিকে শতাব্দী রায়ের পাশাপাশি তৃণমূলের আরও একজন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরাত জাহান নিজের টুইটারে লিখেছেন, “শেষ পর্যন্ত বিচার হল। আইন-বিচার ব্যবস্থার কাউকে না কাউকে তো বিচার পাইয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিতেই হবে। সকলে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন। অপরাধীর বেঁচে থাকার অধিকার নেই।”

এদিনের তেলেঙ্গানা পুলিশের এনকাউন্টারের ঘটনাকে সমর্থন জানিয়েছেন তৃণমূলের আরেক সাংসদ অভিনেতা দেব। আবার যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী টুইটারে লিখেছেন, “অবশেষে তোমার আত্মার শান্তি পেল।” শুধু টুইটারে লেখায় নয়, এই প্রসঙ্গে হায়দ্রাবাদের বাসিন্দাদের সেলিব্রেশনের একটি মুহূর্তকেও শেয়ার করেছেন। হায়দরাবাদ পুলিশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঘাসফুলের আরও এক সাংসদ দেবও। অর্থাৎ, তৃণমূলের সেলিব্রিটি সাংসদরা সকলেই দলনেত্রীর বিরুদ্ধে মতই পোষন করছেন।

কিন্তু যেখানে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হায়দরাবাদ পুলিশের অ্যাকশনকে “আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া” বলে মনে করছেন, সেখানে তার নিজের দলের 4 জন সাংসদের এহেন মন্তব্য রীতিমতো জল্পনা ছড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। এমনিতেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বিরুদ্ধাচরণ পছন্দ করেন না। সেখানে তার নিজের দলের সাংসদদের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধাচারণ নজর কেড়েছে তৃণমূল নেতাদের। এখন দলীয় ভাবে সাংসদদেরকে এই বিষয়ে কিছু বলা হয়, নাকি নিজস্ব মত বলে গোটা ব্যাপারটি এড়িয়ে যাওয়া হয়! সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!