এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আবহাওয়া > অতিবৃষ্টির ওপর খাঁড়ার ঘা ব্যারেজের ছাড়া জল, চরম দুর্বিপাকে সাধারণ মানুষ

অতিবৃষ্টির ওপর খাঁড়ার ঘা ব্যারেজের ছাড়া জল, চরম দুর্বিপাকে সাধারণ মানুষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। রীতিমতো অসহনীয় অবস্থা হয়ে উঠেছে অতিবৃষ্টির জেরে। অতিবৃষ্টির ফলে জল জমে রাস্তাঘাট জলের তলায়। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় চাষের জমি থেকে বাড়ি ঘর জলে ডুবে গেছে। বৃষ্টির জলে যখন এইরকম সঙ্গীন অবস্থা, তখন যদি ব্যারেজের জল ছাড়া হয় তাহলে বানভাসির হাত থেকে বাঁচবেনা কেউ। কিন্তু আশঙ্কা সেরকমই দেখা যাচ্ছে। কার্যত দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছেড়ে দেওয়ায় বানভাসি অবস্থা হয়েছে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গা। সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রায় 72 হাজার 225 কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।

আর তাতেই বানভাসি হয়ে গিয়েছে হাওড়া, হুগলি, বর্ধমানের বহু এলাকা। কার্যত নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে। পাশাপাশি ঝাড়খন্ডেও চলছে প্রবল বৃষ্টি। টানা বৃষ্টির জেরে সমস্ত নদীগুলি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। জলাধারগুলিতেও জল বাড়তে শুরু করেছে। মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধারে জল বাড়ার কথা ইতিমধ্যেই শোনা যাচ্ছে। দুর্গাপুর ব্যারেজের ওপরেও জল বেড়ে চাপ সৃষ্টি হয়েছিল, আর সেই কারণেই পরিস্থিতি সামাল দিতে জল ছাড়তে বাধ্য হয় দুর্গাপুর ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ বলে শোনা যাচ্ছে। কার্যত দুর্গাপুর ব্যারেজের জল ধারণ ক্ষমতাও কম অন্যান্যদের থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে গত তিনদিন অতিবৃষ্টির ফলে রীতিমতো জলমগ্ন হাওড়া, হুগলি, বর্ধমানের বহু জায়গা। নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই বানভাসি অবস্থা। তার মধ্যে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সমস্ত এলাকায়। পাশাপাশি বৃষ্টি যদি আবার বাড়ে, তাহলে যে ভয়ানক দুর্দশা সৃষ্টি হবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই এলাকার বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই জানা যাচ্ছে, আসানসোলে টানা বৃষ্টির জেরে ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এমনকি দেওয়াল চাপা পড়ে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর। পাশাপাশি গাড়ুই এবং নুনিয়া নদীর জল বেড়ে উঠে ভাসিয়ে দিয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম।

নদী উপচে জল ঢুকতে শুরু করেছে আসানসোলের ভিতরেও। সবমিলিয়ে বৃষ্টির মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে দুর্বিপাক যে আরো চরমে উঠেছে, তা নিশ্চিত। এরই সাথে দুর্গাপুর ব্যারেজ জল ছেড়ে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হয়ে উঠেছে। তবে অন্যান্য ব্যারেজগুলিও যদি এবার জল ছাড়তে শুরু করে তাহলে মারাত্মক অবস্থা যে তৈরি হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য সরকারীভাবে কি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে? প্রশ্ন উঠলেও এর উত্তর এখনো মেলেনি।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!