এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা অতিমারীর জের! এবার বড়সড় কোপ পড়তে চলেছে সরকারি চাকরিতে? নতুন ঘোষণায় তীব্র চাঞ্চল্য!

করোনা অতিমারীর জের! এবার বড়সড় কোপ পড়তে চলেছে সরকারি চাকরিতে? নতুন ঘোষণায় তীব্র চাঞ্চল্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশ যে স্বাভাবিক নয় সে কথা ইতিমধ্যে বহুবার শোনা গেছে। সরকার যে যেনতেন প্রকারে আয় এবং ব্যয়ের সমতা রাখতে চাইছে সে ক্ষেত্রে স্পষ্ট উদাহরণ পাওয়া গেছে কেন্দ্রের অনেক সিদ্ধান্তই। এতদিন করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত কিছু বন্ধ থাকলেও ধীরে ধীরে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য কাজের সেক্টরগুলি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও এখনো পর্যন্ত থেমে রয়েছে বহু কাজের জায়গা। অন্যদিকে এতদিন লকডাউনে নানাভাবে সরকারি আয় কমেছে। যদিও সরকার অর্থনৈতিক অবস্থার দায় করোনার ওপর চাপিয়ে দিতে চাক না কেন, আসলে যে সরকারের নীতি নিয়মেই খামতি রয়েছে সে কথা বেশ ভালোমতোই টের পাওয়া যাচ্ছে।

সেই প্রভাবে দেখা যাচ্ছে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারীভাবে কর্মী নিয়োগ, সমস্ত ক্ষেত্রেই নানা রকম বাঁধন লাগিয়েছে কেন্দ্র। যদিও তা নিয়ে সমালোচনা করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিরোধীদের মন্তব্য মোদি সরকার যে দেশে কোনো সরকারি পদ রাখতে চান না, সমস্তটাই যে বেসরকারি করে ফেলতে চাইছেন তা টের পাওয়া যাচ্ছে। কেবলমাত্র সরকারি বলতে ভবিষ্যতে হয়ত নামমাত্র কিছু পদ থেকে যাবে। তাই বিরোধীদের দাবি, এই নীতি নিয়ে যদি মোদি সরকার চলবে ভেবে থাকে, তবে তা হয়ত খুব একটা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। বর্তমানে না হয় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সমস্যার সামাল দিলেও ভবিষ্যতে কি পদক্ষেপ নেবেন সেটাই দেখার বিষয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে সরকারি তহবিলের খরচ কমাতে বর্তমানে সরকারি ভাবে যে নিয়োগ বন্ধ করা হয়েছিল সে ক্ষেত্রে কিছু বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি ভাবে অর্থনৈতিক চাপের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত খরচের ক্ষেত্রে এবার কিছু নিয়ম নির্ধারণ করা প্রয়োজন। আর সেজন্যই বেশকিছু নতুন পদক্ষেপের কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তার মধ্যে রয়েছে চলতি বছরের পয়লা জুলাই এর পর যদি কোন নতুন সরকারি পদ সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে তা এখনই নিয়োগের আওতায় আনা হবে না। আগে এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রকের কাছে অনুমতি নিতে হবে, পরে তা ফলপ্রসূ করা হবে। উপরন্তু ভবিষ্যতেও নতুন কোন পদ সৃষ্টি করতে গেলে আগে অর্থ মন্ত্রকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারি মন্ত্রক ও তাদের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দপ্তরে যে সমস্ত কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়, সেক্ষেত্রে আগে দেখা হবে যে আদৌ তাদের প্রয়োজন আছে কিনা। এছাড়া নিয়োগ করতে হলে কত জনকে নিয়োগ করা হবে তা আগে খতিয়ে দেখা হবে তারপর সেই মতো নিয়ম জারি করা হবে। সেইসঙ্গে যেকোনো বই ছাপানোর ক্ষেত্রে আমদানি করা কাগজ ব্যবহার করা যাবে না। কেবলমাত্র বিদেশে ভারতীয় হাইকমিশন এই নিয়মের আওতা থেকে বাইরে থাকবে। এছাড়া সরকারি কোনো অনুষ্ঠানের খরচের ক্ষেত্রেও প্রথমে অর্থ মন্ত্রকের কাছে অনুমতি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে অনুষ্ঠান করা যদি একান্তই প্রয়োজন হয়, তবে অত্যন্ত কম খরচের উপর দিয়েই তাকে সাঙ্গ করতে হবে বলেই নিয়ম জারি করা হয়েছে। তবে এতে কতটা লাভ হবে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!