এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > অতিরিক্ত বন্ধুত্ব করার আগে ভাবুন, প্রায় সর্বস্ব খোয়ালেন এই যুবক

অতিরিক্ত বন্ধুত্ব করার আগে ভাবুন, প্রায় সর্বস্ব খোয়ালেন এই যুবক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিদেশিনী পরিচয় দিয়ে বর্ধমান শহরের এক ব্যক্তির সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়েছিল এক মহিলার। এবার তিনি দিল্লি বিমানবন্দরে কাস্টমস অফিসারদের হাতে আটক হয়েছেন বলে জানিয়ে, এক ব্যক্তি তাঁর কাছে ফোন করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল। বারবার টাকা নিয়ে নেবার পর সন্দেহ হবার কারণে দিল্লির কাস্টমস অফিসে ফোন করেছিলেন সেই ব্যক্তি। সেখানে ফোন করে জানতে পারেন যে, পুরো ব্যাপারটিই প্রতারণা। এরপরই তিনি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি দেন ও বর্ধমানের পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানান। বর্ধমানের পুলিশ সুপার বর্ধমান থানার আইসিকে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত কয়েক মাস আগে এক মহিলা নিজেকে নিউইয়র্ক এর বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়ে বর্ধমান শহরের গোলাহাটের এক ব্যক্তিকে ফেসবুকে কয়েকবার বন্ধুত্বের মেসেজ ও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে ছিলেন। কয়েকবার মেসেজ পাওয়ার পর সেই মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন তিনি। সেই মহিলা নিজেকে নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন বলে জানিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে, ইউকেতে তাঁর নির্মাণ ব্যবসা চলছে। ভারতে নির্মাণ ব্যবসার সম্ভাবনার বিষয়ে বিভিন্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন সেই মহিলা। জিজ্ঞাসাবাদের পর ভারতে এই ব্যবসার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। দেশের পূর্বাঞ্চলে নির্মাণ ব্যবসার ব্যাপারে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। নিজে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কারণে বর্ধমানের এই ব্যক্তি তাঁর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর কয়েকদিন আগে বর্ধমানের এই ব্যক্তিকে নিজে কাস্টমস অফিসার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করেন। ফোন করে তাঁকে জানান যে, তাঁর ফেসবুকের সেই বন্ধুকে দিল্লিতে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে ছাড়াতে গেলে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। বর্ধমানের বাসিন্দাকে একটি অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও আইএফসি কোড পাঠানো হয়েছিল। পরে তাঁকে আরও ৭ লক্ষ ২৭ হাজার ৩১১ টাকা পাঠাতে বলা হয়। সেটা তিনি পাঠান, এরপর তাঁকে আরও ৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৩১১ টাকা পাঠাতে বলা হয়। সেটাও তিনি পাঠান, পরে আবার তাকে ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা তিনটি অ্যাকাউন্টে পাঠাতে বলা হয়। এভাবে বারবার তাঁকে টাকা পাঠানোর কথা বলায় সন্দেহ হয় তাঁর। এরপর তিনি দিল্লির কাস্টম অফিসে ফোন করেছিলেন। কাস্টমস অফিস থেকে জানানো হলো, এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

এরপরই তিনি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি দেন ও বর্ধমান থানার এসপিকে বিষয়টি জানান। বর্ধমান থানার পুলিশ সুপার থানার আইসিকে বিষয়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এসপির নির্দেশে পুলিশ এর তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই ঘটনার পেছনে মিজোরামের একটি চক্র জড়িত আছে। যেসব অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন একজন পুলিশ আধিকারিক। এ প্রসঙ্গে জনৈক পুলিশ আধিকারিক জানান যে, তদন্ত শুরু হয়েছে। এর পেছনে অন্য রাজ্যের একটি চক্র জড়িত আছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তথ্য সংগ্রহ করে প্রতারকদের পরিচয় জানা হবে। এই ঘটনার তদন্তে সাইবার থানার সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানালেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!