এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ATM-গুলোই কি ক্রমশ হয়ে উঠছে করোনার আঁতুরঘর? আতঙ্ক বাড়িয়ে প্রশ্ন উঠছে গ্রাহক মনে!

ATM-গুলোই কি ক্রমশ হয়ে উঠছে করোনার আঁতুরঘর? আতঙ্ক বাড়িয়ে প্রশ্ন উঠছে গ্রাহক মনে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে মানুষ অস্ত্র হিসেবে তুলে নিয়েছে মাস্ক। কিন্তু হাতের ব্যবহার যথেচ্ছভাবে দেখা যাচ্ছে সব জায়গায়। যদিও চিকিৎসকরা প্রথমেই সাবধান করেছিলেন করোনার জীবাণু ছড়াতে হাতের অবদানও কম নয়। সেই সূত্রে চিকিৎসকরা কিন্তু আগেই বলেছিলেন গ্লাভস ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু সাধারণ মানুষ কালক্রমে মাস্ক ব্যবহার করলেও গ্লাভস নিয়ে বিশেষ উৎসাহ দেখায়নি। যদিও গ্লাভস নিয়ে প্রচারও সেভাবে হয়নি, যতটা মাস্কের জন্য হয়েছে।

এই অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, হাতের ব্যবহার বহুল পরিমাণে হচ্ছে এটিএম কাউন্টারগুলিতেই। সে জায়গায় এটিএম কাউন্টারগুলি করোনার সংক্রমণ ছড়াতে প্রধান ভূমিকা নিচ্ছে বলে মত অনেকের। এটিএমের দরজা খোলা থেকে শুরু করে কীপ্যাডে চাপ দিয়ে পাসওয়ার্ড দেওয়া পর্যন্ত, পুরোটাই হাতের দ্বারা হয়। আর সেখানেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। অন্যদিকে গ্রাহকদের অভিযোগ ব্যাংকে যতটা পরিমাণে করোনার সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে, সে জায়গায় এটিএমের দিকে কিন্তু কারোর নজর নেই।

স্যানিটাইজ করা তো দূরের কথা, প্রতিদিনের পরিষ্কারটুকুও করা হয়না বলে এটিএমগুলিতে। এ ব্যাপারে অভিযোগ নিয়ে রিজার্ভ ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে ‘অল বেঙ্গল সিটিজেনস ফোরাম’ নামে একটি নাগরিক সংগঠন। ইতিমধ্যে এটিএম সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো হয়েছে হুগলির জেলাশাসকের দপ্তরেও। উক্ত সংগঠনের সভাপতি শৈলেন পর্বত জানিয়েছেন, ব্যাংক যেভাবে নিয়মিত করোনার সাবধানতা হেতু স্যানিটাইজ করা হয়, সে জায়গায় এটিএম কাউন্টারগুলি করা হয় না কেন? যেখানে এটিএম থেকে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা সবথেকে বেশি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ ব্যাপারে একমত বহু চিকিৎসক। হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তীর মতে, এটিএম বহুল ব্যবহার করা হয়। সে জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশংকাও অনেক বেশি থাকে। তাই এবার বিকল্প ব্যবস্থা ভাবা উচিত। তবে এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ব্যাংক যেহেতু নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলা থাকে, তাই সেখানে স্যানিটাইজ করা সম্ভব হয়। কিন্তু এটি যেহেতু দিবারাত্র খোলা থাকছে এটিএম, সে জায়গায় সাবধানতা কতটা কাজ করবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছেনা।

তবে সেক্ষেত্রে স্থানীয় পৌরসভা, ব্লক অফিস যদি যে যার স্থানীয় এটিএমগুলির দায়িত্ব নেয়, তাহলে পরিস্থিতি হয়তো কিছুটা পাল্টাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা গ্লাভস ব্যবহারের কথাই বলছেন। এবং যদি কেউ গ্লাভস ব্যবহার না করেন তাহলে এটিএম এ ঢোকার আগে ভালো করে হাত স্যানিটাইজ করার কথা বলা হচ্ছে। হুগলী জেলায় প্রায় 300 রও বেশী এটিএম বর্তমান এই মুহুর্তে। তবে এটিএম অপরিষ্কারের অভিযোগ শুধু হুগলী নয়, সব জেলাতেই কম বেশী আছে। এখন নতুন করে যোগ হয়েছে স্যানিটাইজ না করার অভিযোগ।

ইতিমধ্যে এটিএম সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো হয়েছে শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাংকের পশ্চিমবঙ্গের চীফ জেনারেল ম্যানেজারকে। এবং অভিযোগের সাথে সাথে এটিএম স্যানিটাইজ করারও দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছেও একই অভিযোগের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার সাবধানবিধি অবলম্বন না করলে অচিরেই ফল ভুগতে হবে রাজ্যের সবাইকে। যদিও এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে রেকর্ড হারে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে তাঁর কজন এটিএম থেকে সংক্রামিত হয়েছেন, সেকথা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণে অন্য একটি আধার রূপে পরিগণিত হচ্ছে এটিএম, সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!