এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আত্মীয় পরিচয়ে সীমান্তের গ্রামে ঘাঁটি গাড়ছে বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা! গোয়েন্দা রিপোর্টে উড়ছে ঘুম

আত্মীয় পরিচয়ে সীমান্তের গ্রামে ঘাঁটি গাড়ছে বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা! গোয়েন্দা রিপোর্টে উড়ছে ঘুম


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসা দুষ্কৃতীদের আনাগোনা চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গোয়েন্দা বিভাগ ও প্রশাসনের। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশ থেকে অহরহ দুষ্কৃতীদের আনাগোনা ঘটছে। বিভিন্ন দুষ্কৃতীর এখানে নানা অসামাজিক কাজ কর্মে লিপ্ত হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, জলঙ্গি এবং মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরের বেশ কয়েকটি গ্রামকে দুষ্কৃতীরা নিজেদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে অর্থের বিনিময়ে তাদের আশ্রয় দিচ্ছে বেশকিছু গ্রামবাসী। তবে কী কারণে তাদের এদেশে আগমন সে ব্যাপারটি এখনও গোয়েন্দাদের কাছে পরিষ্কার নয়।

অল্প কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদ জেলায় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এক স্থান থেকে মহম্মদ আব্দুল খালিক নামে এক দুষ্কৃতীকে বিএসএফ আটক করেছে। আটক করার পর জানা গেছে, এই দুষ্কৃতী বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার চারঘাট এলাকার বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন ধরে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির একটি গ্রামে ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে সে বসবাস করছিল। তারপর সীমান্তবর্তী এলাকায় আনাগোনা দেখে বিএসএফের সন্দেহ বাড়ে, তখনই তাকে আটক করা হয়।

আবার, মুর্শিদাবাদের শিবগঞ্জ থানা এলাকা থেকে মেহেবুব আলম নামে এক দুষ্কৃতীকে আটক করেছে বিএসএফ। শিবগঞ্জ থানা এলাকা থেকে আরো দুজন দুষ্কৃতী রবিউল আলম, সবন শেখকেও আটক করা হয়েছে। শোভাপুর গ্রামের এক ব্যক্তির কাছে তারা দুজন বেশ কিছুদিন ধরেই আশ্রয় নিয়েছিল। পরে মাদকদ্রব্য পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায়। আব্দুল রেজান নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হলো ধুলিয়ান থেকে। যে সামশেরগঞ্জ একটি গ্রামের বেশকিছু কিছুদিন ধরেই অবস্থান করছিল।

এ প্রসঙ্গে জনৈক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ধরনের দুষ্কৃতীরা অনেক সময় ভুয়া পরিচয় পত্র তৈরি করছে। এই ভুয়া পরিচয় পত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তাদের আনাগোনা বাড়ছে। অর্থের বিনিময়ে বেশকিছু গ্রামবাসীকে আশ্রয় দিচ্ছে তাদের। তার পর এলাকাবাসী ও পুলিশকে বোকা বানাতে এদেরকে তারা নিজেদের আত্মীয়, পরিজন বলে পরিচিত করছে। বেশিরভাগ সময়ই এদেরকে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়ে নিজের বাড়িতে থাকতে দিচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অপর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা খুব সহজেই নদী পার করে চলে আসছে ভারতে। কোন গ্রামবাসীর বাড়িতে আশ্রয় নেবার পর ধরা পড়ার ভয়ে তারা দিনে খুব একটা বেরোচ্ছে না। রাত নামলেই পথে বেরোচ্ছে তারা। রাতের দিকে অনেক সময় তাদের স্থানীয় পথ চিনিয়ে দেওয়ার কাজ করছে তাদের আশ্রয়দাতারাই।

এ প্রসঙ্গে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতিকারীদের শ্বশুর বাড়ির লোক বলে পরিচয় দিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের খুব সহজেই বোকা বানাচ্ছে এদের আশ্রয়দাতারা। কারণ, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে বেশিরভাগ সময়েই তেমন কোন পরিচয় থাকে না এলাকাবাসীর । তাই এদেরকে শ্যালক বা দূরসম্পর্কের জামাই বলে পরিচয় দিলে কারও কোন সন্দেহ হয় না।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন ইতিপূর্বেও বাংলাদেশের বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের সদস্যরা এ দেশে এসে এই স্থানগুলিতে আশ্রয় নিয়েছিল, যা এখনো বন্ধ হয়নি। একারণেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন গোয়েন্দারা। দুষ্কৃতীদের এদেশে এসে কিভাবে সিম কার্ড জোগার করছে, এই সমস্ত কিছুর তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন ধরনের পাচার কাজের জন্য বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা পূর্বেও মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর ও মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জে আশ্রয় নিয়েছিল। সম্প্রতি সামশেরগঞ্জ গ্রাম থেকে এক জেএমবি জঙ্গি আটক হওয়ার পর আরও সন্দেহ বেড়েছে গোয়েন্দাদের।

একটা সময় এই এলাকাগুলিতে জঙ্গিদের আনাগোনা যথেষ্ট ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে ছিল যার মূল নিয়ন্ত্রণ। তাই এই এলাকাগুলিতে বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করেছেন গোয়েন্দারা। এই গ্রামে গুলিতে অপরিচিত কাউকে দেখলেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আবার গ্রামবাসীরা যদি কোনো অপরিচিত ব্যক্তিকে নিজেদের আত্মীয় বলে পরিচয় দেয় সেক্ষত্রেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!