এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আতঙ্ক বাড়িয়ে আসতে চলেছে করোনার বৃহত্তর দ্বিতীয় ঢেউ? কড়া পদক্ষেপে আটকানোর মরিয়া চেষ্টা?

আতঙ্ক বাড়িয়ে আসতে চলেছে করোনার বৃহত্তর দ্বিতীয় ঢেউ? কড়া পদক্ষেপে আটকানোর মরিয়া চেষ্টা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সমগ্র ইউরোপ জুড়ে করোনার ব্যাপক হানা। করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ইউরোপের একের পর এক দেশের উপরে। করোনার সংক্রমণ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ফ্রান্স। এরপর করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে কড়া নিয়ম জারি করেছে ইতালি। সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করল স্পেন।

প্রসঙ্গত করোনা মহামারীতে ইউরোপের যে দেশগুলো ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মধ্যে একটি দেশ হলো স্পেন। এখনো পর্যন্ত স্পেনে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫ হাজার। করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা স্পেনে ১০ লক্ষেরও বেশি। করোনার সংক্রমণ শুরু হলেই যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে সমস্ত দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছিল স্পেন। এতে বেশ কিছুটা সুফলও মিলেছিল। কিন্তু কিছুদিন ধরেই করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ এ দেশের ওপর আছড়ে পড়েছে। করোনা সংক্রমণ অতিমাত্রায় বাড়তে থাকায় আবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলো স্পেন।

বিবিসি সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ ঘোষণা করেছেন যে, এখন থেকে রাত ১১ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ চালানো হবে। গত রবিবার থেকেই যা শুরু হয়েছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ আরও জানিয়েছেন যে, দেশের এই জরুরি অবস্থার সময় স্থানীয় প্রশাসনের হাতে বেশ কিছু বাড়তি ক্ষমতা রাখা হয়েছে। যেমন করোনা সংক্রমণ বন্ধ করতে যোগাযোগ ব্যবস্থা তথা যাতায়াত নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে স্পেনের রাজ্য গুলোকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ আরও জানিয়েছেন যে, এবারে ১৫ দিনের জন্য এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। কিন্তু এই জরুরি অবস্থার আরও ছমাস বৃদ্ধি করার জন্য তিনি সংসদে আবেদন জানাবেন। গত রবিবারে প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ স্পেনবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তায় জানালেন যে, অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছে এই দেশ। গত ৫০ বছরে এত বড় বিপদ এই দেশে দেখা যায়নি।

প্রসঙ্গত করোনা সংক্রমণ তীব্রভাবে বাড়তে থাকায় ফ্রান্স দেশের নটি শহরের রাত ৯ টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারি করল। এই শহরগুলি হলো ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস, গ্রেনোবাইল, লিলি, লিয়ঁ, আইক্স-মার্শেই, সেন্ট এটিনে, টিউলস, আইল-ডে-ফ্রান্স, মন্টপেলিয়ার। এই নাইট কারফিউ চার সপ্তাহ ধরে চালানো হবে। ফ্রান্সের কেউ যদি এই নাইট কারফিউ লংঘন করে, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাকে ১৩৫ ইউরো জরিমানা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতালিও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

এভাবে ইউরোপে করোনার দ্বিতীয়ত ঢেউ আছড়ে পড়ায় চিন্তিত ইউরোপবাসীর সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিশ্ববাসী। বিশ্বের মানুষ আতঙ্কিত এটা ভেবে যে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইউরোপের মতো কি বিশ্বজুড়ে আছড়ে পড়তে চলেছে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!