এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ঝাড়গ্রামে বিজেপির রাজ্যনেতার উপস্থিতিতেই বোমা-গুলি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

ঝাড়গ্রামে বিজেপির রাজ্যনেতার উপস্থিতিতেই বোমা-গুলি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে


জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ও জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান শুরু হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। গতকাল এইরকমই এক সংবর্ধনা উপলক্ষ্যে ঝাড়গ্রামে পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎ বাইক বাহিনী ঘিরে ফেলে বিজেপি পার্টি অফিস, চলে গুলি-বোমা। পরবর্তীকালে আসরে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও রাফ, রাত প্রায় ১ টা নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখনো এলাকা ঘিরে রেখেছে রাফ।

এই প্রসঙ্গে প্রিয় বন্ধু বাংলার তরফে টেলিফোনে সুব্রতবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। সুব্রতবাবু জানান, কি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে তা রাজ্যবাসী জানে। সবত্রাস ও হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাটাই বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর পঞ্চায়েত নির্বাচন মিতে যাওয়ার পরে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের কেনার চেষ্টা হচ্ছে। যাঁরা এইসব সন্ত্রাসের মুখে দাঁড়িয়েও বিজেপি ছাড়তে চাইছেন না, তাঁদের উপর নেমে আসছে আক্রমন। আর তাই বিজেপির তরফে এই আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে ও পঞ্চায়েতে সন্ত্রাসের মুখে দাঁড়িয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অভিনন্দন জানাতে জেলায় জেলায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। সমস্ত শীর্ষনেতা, দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে মুকুল রায় জেলায় জেলায় এই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।

সুব্রতবাবু আরো জানান, গত পরশু আমি বাঁকুড়া জেলাতে যাই, গতকাল সকালে পুরুলিয়া জেলায়। ফলে ঝাড়গ্রামে আসি একটু সন্ধ্যের দিকে। যখন আমাদের পার্টি অফিসে এই অনুষ্ঠান চলছিল, তখন হঠাৎই তৃণমূলের বাইক বাহিনী অফিস ঘিরে ফেলে ইঁট মারতে শুরু করে। তখন বিজেপি কর্মীরাও পাল্টা অফিস থেকে বেরিয়ে এসে তাড়া করতেই বাইক ফেলেই গুলি চালাতে চালাতে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যেই আবার বিশাল সংখ্যক বাইক বাহিনী আবার ফিরে আসে এবং শুরু হয় গুলি বৃষ্টি। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই সেখানে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী, কিন্তু সেই গুলি বৃষ্টির মুখে পুলিশবাহিনীকেও পিছু হটতে হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাফ, ততক্ষনে দুষ্কৃতীরা বোমা ছুঁড়তে শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি কর্মী, পুলিশ ও রাফের পাল্টা প্রতিরোধে রাত প্রায় সাড়ে ১২ টা নাগাদ পিছু হটে ওই দুষ্কৃতীরা।

সুব্রতবাবুর বক্তব্য, রাত ১ টা নাগাদ যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে, তখন পুলিশ আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করে, এত রাতে এত জমায়েত কেন পার্টি অফিসে? আমি জানাই, চারিদিকে সন্ত্রাস চলছে, বিজেপি কর্মীদের উপর বেছে বেছে আক্রমন নেমে আসছে, পুলিশ কোনোরকম সুরক্ষা দিতে পারছে না। বিজেপি কর্মীরা ঘরে ফিরতে পারছেন না, ফলে তাঁদের পার্টি অফিসে নিয়ে এসে রাখা ছাড়া কোনো উপায় আছে? এই সন্ত্রাসের আবহে দাঁড়িয়ে মহিলারাও সুরক্ষিত নয়, ফলে তাঁরাও এখানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু এরপরেই পুলিশ জানায়, সেই মুহূর্তে পার্টি অফিস খালি করে না দিলে পুলিশ সবাইকে গ্রেপ্তার করবে। আমরাও চাপের মুখে মাথা নত না করে জানিয়ে দিই, আপনারা তালা ভেঙে গ্রেপ্তার করতে পারেন, কিন্তু আমাদের পক্ষে কাউকে এই মুহূর্তে এখন থেকে বের করে দেওয়া সম্ভব নয়। এরপরেই পুলিশ কর্তা অন্য কারোর কাছ থেকে কোনো নির্দেশ পেয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যান। আমরা সমগ্র ঘটনা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্বকে জানিয়েছি। রাজ্যজুড়ে ছোলা এই সন্ত্রাসের পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আগামী ১ লা জুন বিজেপির তরফে রাজ্যের সমস্ত থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তবে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায় নি।

https://www.youtube.com/watch?v=eBhHvhnSo48

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!