এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অভিষেকের ওপর হামলার ঘটনা ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির চাপানউতোর তুঙ্গে ত্রিপুরায়

অভিষেকের ওপর হামলার ঘটনা ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির চাপানউতোর তুঙ্গে ত্রিপুরায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর থেকেই তৃণমূলের লক্ষ্য 24 এর লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগেই বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বাড়ানোর দিকে তৃণমূল নজর দিয়েছে। আর সবার আগে পশ্চিমবঙ্গের পাশের রাজ্য ত্রিপুরায় সংগঠন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে পদে পদে আসছে বাধা এবং সে বাধা যে বিজেপির তা বলাইবাহুল্য। সম্প্রতি আইপ্যাক কর্মীরা তৃণমূলের হয়ে ত্রিপুরায় সমীক্ষা চালাতে গেলে তাঁদেরকে আটক করা হয়। সেই সূত্রে ত্রিপুরায় ভিড় বাড়ে তৃণমূল হেভিওয়েটদের। আর আজকে কার্যত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকএ‍ঙ্গে বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই আঘাত নেমে এলো ত্রিপুরায়।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা নেত্রীরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কার্যত আজকে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম ত্রিপুরা সফর ছিল। তার আগেই অবশ্য তৃণমূল যুব নেতা-নেত্রীরা পৌঁছে গিয়েছিলেন ত্রিপুরায়।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ত্রিপুরায় পৌঁছান, তখন তাঁকে কালো পতাকা হাতে নিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দেখানো থেকে তাঁর গাড়ির উপরে বাঁশ, লাঠি দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগের তীর উঠেছে বিজেপির দিকে। সূত্রের খবর, ত্রিপুরার উদয়পুর মাতাবাড়ি এলাকায় অভিষেক পৌঁছানো মাত্রই সেখানকার বিজেপি কর্মীরা তাঁকে দেখে গো-ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে। একইসাথে তাঁর গাড়িতে আঘাত করতে থাকে বাঁশ দিয়ে। সেই হামলার ভিডিও নিজেই করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং টুইট করেছেন। আর তারপর মুখ খুলেছেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তাঁর অভিযোগের নিশানায় ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রীতিমতো টুইট করে সায়নী লেখেন, ‘বিপ্লব দেবের অতিথি দেব ভব-র উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছাতেই তাঁর গাড়িতে হামলা। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন ঠিকই, কিন্তু চারিত্রিকভাবে তিনি পরাজিতই। ত্রিপুরায় বিজেপি ভয় আর নিরাপত্তাহীনতায় যে ভুগছে, তা দেখা গেল।’ অন্যদিকে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও অভিষেকের ওপর ত্রিপুরায় হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তিনি এই ঘটনার চূড়ান্ত নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন, বিজেপি যে মানুষের দ্বারা প্রত্যখ্যাত হবে তা বুঝতে পারছে। সাথে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ব্যাপকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তিনি ধিক্কার জানিয়েছেন ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে। একই সাথে তিনি অভিযোগ করেছেন, হামলা চালিয়ে তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা চলছে।

একইভাবে ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলা করার ঘটনাটি রাজ্যসভায় উত্থাপন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উত্তর দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে। অন্যদিকে বিজেপিও চুপ করে নেই। এতগুলি অভিযোগের পরে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা টুইটটিকে রিটুইট করে বিজেপি পাল্টা দাবি করেছে, বাংলায় যেভাবে নিত্যদিন বিরোধীদের ওপর হামলা চালানো হয় এবার ত্রিপুরাতেও সেই হামলা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে দায়ী তৃণমূলের ভাড়া করা ক্যাডাররা। কার্যত বিজেপির হুঁশিয়ার করেছে তৃণমূলকে, এবারে রাজ্যেও এরকম ছবি দেখতে পাওয়া যাবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরা সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!