এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অভিশপ্ত কলকাতার মেয়র পদ? সুব্রত-শোভন-ববির গ্রেপ্তারিতে প্রশ্ন শুরু তৃণমূলের অন্দরমহলে

অভিশপ্ত কলকাতার মেয়র পদ? সুব্রত-শোভন-ববির গ্রেপ্তারিতে প্রশ্ন শুরু তৃণমূলের অন্দরমহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী যারা হয়েছেন, তারা হয় গ্রেপ্তার হয়েছেন, তা না হলে যোগ দিয়েছেন প্রতিপক্ষ শিবিরে। অর্থাৎ পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্ব যারাই সামলেছেন, তাদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে যে বরাবর অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে, তা কার্যত পরিষ্কার। যার ফলে সোমবার ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিশেষত ফিরহাদ হাকিমের বর্তমান পরিবহন দপ্তর নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

অনেকে বলছেন, পরিবহন দপ্তরটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জমানায় অশুভ দপ্তর। কেননা এর আগে মদন মিত্র যখন পরিবহন দপ্তরে ছিলেন, তখন তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে শুভেন্দু অধিকারী যখন পরিবহন দপ্তরের দায়িত্ব পান, প্রথমদিকে ভালো চললেও পরবর্তীতে তিনি যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খুব একটা সুখকর ছিল না।

আর তৃতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে এই পরিবহন দপ্তরের দায়িত্ব পাওয়া ফিরহাদ হাকিম আটক হলেন সিবিআইয়ের হাতে। তবে সময় যত গড়াতে শুরু করেছে, ততই শুধু পরিবহন দপ্তর নয়, কলকাতা পৌরসভার মেয়র পদও যে অভিশপ্ত, সেই ব্যাপারে গুঞ্জন শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার ইতিহাসে এ যেন বেনজির ঘটনা। এক দিনেই গ্রেপ্তার হলেন কলকাতা পৌরসভার দুই প্রাক্তন এবং এক বর্তমান মেয়র।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার নারদা কান্ডের জন্য গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে। একটু লক্ষ্য করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, এই কলকাতা পৌরসভার এক সময়কার মেয়র ছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়।

তারা এখন প্রাক্তন হলেও, নির্বাচন না হওয়ার কারণে কিছুদিন আগে পর্যন্ত মেয়র থাকা ফিরহাদ হাকিম এখনও পর্যন্ত কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক। স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমান প্রশাসক তথা প্রাক্তন মেয়রের পাশাপাশি আরও দুই প্রাক্তন একসাথে সিবিআইয়ের হাতে আটক হয়ে প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ায় রীতিমত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাচ্ছে অনেকেরই।

গ্রেপ্তারি নিয়ে বহু প্রশ্ন রয়েছে। নানা তর্ক বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু এসবের মধ্যেও যে বিষয়টি সব থেকে বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটা হল, পরপর তিনজন প্রাক্তন মেয়র একসাথে গ্রেপ্তার হলেন কেন? অনেকে বলছেন, তৃণমূলের জন্য পরিবহন দপ্তরের পাশাপাশি হয়ত বা কলকাতা পৌরসভার মেয়র পদটাও খুব একটা সুখকর নয়। আর তাই তিন প্রাক্তন মেয়রকে একসাথে শ্রীঘরে যাত্রা করতে হল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে কটাক্ষ করে বলছেন, এই কলকাতা পৌরসভার মেয়র ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তার পদ অলংকৃত করতে দেখা গেছে অনেক বিশিষ্টজনদের। কিন্তু সেই জায়গাকে বহন করে নিয়ে যে সমস্ত বর্তমান এরা পথে চলেছিলেন, তারা যে কতটা কলঙ্কিত করলেন তাদের অতীতকে, তা এই গ্রেপ্তারি থেকেই পরিষ্কার। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রাণ দিয়েছিলেন দেশের জন্য। স্লোগান দিয়েছিলেন, দিল্লি চলো। আর বর্তমান শাসকদল সেই একই স্লোগান দিয়ে দিল্লি দখল করার আগে পশ্চিমবঙ্গের সর্বনাশ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছেড়ে যাওয়া কলকাতা পৌরসভার মেয়র পদের একসময়কার ভাগীদার সুব্রত মুখোপাধ্যায় শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমদের। কলকাতা পৌরসভার আধিকারিকদের কাছে এই দৃশ্য অত্যন্ত কষ্টের। তাদের দাবি, এমন দিন কখনো আসবে, তা সত্যিই কল্পনা করা যায়নি। কি কারণে গ্রেফতার, তা নিয়ে বহু চর্চা। আইনি জটিলতা চলবে।

কিন্তু কলকাতা পৌরসভার গৌরবে যে এর ফলে কিছুটা হলেও দাগ পড়ে গেল প্রাচীনতার আলিঙ্গনে, তা বলাই যায়। তবে দিনের শেষে আবার সেই প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে শুরু করেছে, একসাথে তিন প্রাক্তন মেয়রের গ্রেপ্তার এটা কি কলকাতা পৌরসভার মেয়র পদকে তৃনমূলের জন্য “অভিশপ্ত” বলে আবার চিহ্নিত করল?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!