এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিশপ্ত পরিবহন দপ্তর? যাঁকেই দায়িত্ব মমতার, তিনিই হয় গ্রেপ্তার নয় শত্রু শিবিরে? বাড়ছে জল্পনা

অভিশপ্ত পরিবহন দপ্তর? যাঁকেই দায়িত্ব মমতার, তিনিই হয় গ্রেপ্তার নয় শত্রু শিবিরে? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রথম ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পরিবহন দপ্তর নিয়ে বারবার সমস্যা সামনে এসেছে. কখনও মন্ত্রী বদল, আবার কখনও বা যিনি মন্ত্রী আছেন, তিনি গ্রেফতার হয়ে যাচ্ছেন। আবার সেই মন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে কাউকে যোগ দিতে দেখা গেছে বিরোধী শিবিরে। 2021 সালে তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গ্রেপ্তারের পর পরিবহন দপ্তরই কি অভিশপ্ত! এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে নবান্নের আনাচে কানাচে।

বস্তুত, প্রথম যখন তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসে 2011 সালে, তখন মন্ত্রিসভা গঠনের সময় পরিবহন দপ্তর যায় মদন মিত্রের কাঁধে। পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী মদন মিত্রকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই আধিকারিকরা। একাংশ বলছেন, পরিবহন দপ্তরটা তৃণমূলের কারও জন্যই শুভ নয়। কেননা এর আগে মদন মিত্র প্রথম পেয়েছিলেন ক্রীড়া দফতরের দায়িত্ব।

তখন তিনি বেশ ভালোমতই তার দপ্তর পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু যখন তাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবহন দপ্তরের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, ঠিক তখনই গ্রেপ্তার হতে হয় তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতাকে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রথম দিন থেকেই রাজ্যের পরিবহন দপ্তর তৃণমূলের ক্ষেত্রে যে খুব একটা সুখকর হচ্ছে না, তা 2021 এর এই মধ্যবর্তী সময়ে এসে অনেকের মধ্যেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।

এদিকে মদন মিত্রের পর 2016 সালে দ্বিতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলে আবার মন্ত্রিসভায় রদবদল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বর্তমান বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সেই সময় পরিবহন দপ্তরের দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই মনে করেন সকলে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কিছুদিনের মধ্যেই জার্সি পরিবর্তন করেন।

মন্ত্রী পদ শেষ হওয়ার আগেই তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে সেই মন্ত্রী এবং বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে যোগদান করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম প্রতিপক্ষ হিসেবে সেই শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের জয়লাভ করে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি বিরোধী দলের প্রধান মুখ। স্বাভাবিক ভাবেই দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলেও পরিবহন দপ্তর নিয়ে কার্যত বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এরপর পরিবহন দপ্তর অবশ্য নিজের হাতেই রেখেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু তৃতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে মন্ত্রিসভা গঠন হওয়ার সময় অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ফিরহাদ হাকিমকে রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মন্ত্রী হওয়ার হাতেগোনা কিছু দিনের মধ্যেই এবার গ্রেপ্তার হলেন ফিরহাদ হাকিম। যেখানে আজ সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে সাত সকালে চেতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে‌। আর তারপর থেকেই রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের মধ্যেই কি রয়েছে কোনো অশুভ সঙ্কেত! এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে একাংশের মধ্যে।

অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পর থেকেই পরিবহন দপ্তরের দায়িত্বে যারা গিয়েছেন, তাদের সমস্যা তৈরি হয়েছে। মদন মিত্র থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্যদিকে পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী থাকা শুভেন্দু অধিকারী নিজের পদে ইস্তফা দিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছেন তৃনমূলের অস্বস্তি। তাই এই পরিস্থিতিতে ফিরহাদ হাকিম গ্রেপ্তার হওয়ার পর অনেকের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় অভিশপ্ত পরিবহন দপ্তর? হয় যারা পরিবহন দপ্তরের দায়িত্বে যাবেন, তারা প্রতিপক্ষ শিবিরের নাম লেখাবেন, না হয় তারা কি গ্রেপ্তার হয়ে যাবেন!

একের পর এক ঘটনাপ্রবাহ এই প্রশ্নই তুলে দিতে শুরু করেছে। কেননা এতদিন ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করলেও তিনি গ্রেফতার হননি। কিন্তু পরিবহন দপ্তরের দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে তাকে গ্রেফতার করা হল, তাতে অতীত এবং বর্তমান দেখে রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের আমলে পরিবহন দপ্তরে যে কিছু অশুভ এবং অভিশপ্ত ব্যাপার রয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!