এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অযোধ্যার রাম মন্দির মামলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর

অযোধ্যার রাম মন্দির মামলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর

বহুদিন ধরে সুপ্রিমো কোর্টে ঝুলে আছে রামমন্দির-বাবরি মসজিদের ফয়সালা। কয়েক দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো জমির মালিকানা সত্ত্ব নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছনো যায়নি। এসবের সঙ্গে উওরপ্রদেশের যোগী সরকারের অভিযোগ, মুসলিম সংগঠনগুলো ১৯৯৪ সালের ইসমাইল ফারুকি মামলার রায়কে পুনরায় খতিয়ে দেখার আর্জি জানানোয় সুপ্রিমকোর্টে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার ফয়সালার তারিখ পিছিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে অযোধ্যার সাধুরা মুখ্যমন্ত্রী যোগীর সামনেই চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই বিতর্কিত জমিতে রামমন্দিরের কাজ শুরু করতে চেয়েচ্ছিলেন। তাঁদের দাবি, ২০১৯ এর আগেই রামমন্দির তৈরি হবে রামের জন্মভূমিতে। সেদিন যোগীজি সাধুসন্তদের ধৈর্য রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বলেছিলে, রামের আর্শিবাদ থাকলে অবিলম্বেই অযোধ্যায় মন্দির তৈরি হবে। আর এদিনই তিনি মুসলিম সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন।
অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলায় ১৯৯৪ সালে সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছিল, ইসলাম ধর্মে মসজিদ বাধ্যতামূলক নয়। এদিন মুসলিম পক্ষের আইনজীবী

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজীন ধবন পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন, মসজিদে মুসলিমদের নামাজ পড়ার প্রথাকে তুলে দিলে সেটা সাবেক ইসলাম ধর্মের পরম্পরায় আঘাত হানা হবে। এই প্রেক্ষিতে, প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতি বেঞ্চের সামনে রাজীবের দাবী, সাংবিধানিক বেঞ্চ ১৯৯৪ সালের রায়কে পুনরায় বিবেচনা করুক। ধবন আরো জানিয়েছেন, ১৯৯৪-এর ওই রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ইসলাম ধর্মের কোনও ধর্মগ্রন্থ খতিয়ে দেখেননি। আবার ইলাহাবাদ হাইকোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিকে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া ও রাম লালা বিরাজমানের মধ্যে ভাগ করে দিতে বলেছিল। এদিন ধবন একে ‘পঞ্চায়েতের রায়’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। তাঁর যুক্তি, ১৯৯৪-এর রায়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই ইলাহাবাদ হাইকোর্ট এমন রায় দিয়েছিল। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন বিচারপতি আবদুল নাজিরও। তাঁর মতে, প্রার্থনা একটি জরুরি ধর্মীয় অভ্যাস।
আর এখানেই সওয়াল তুলেছেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে তাঁর যুক্তি, ১৯৯৪-এর পর থেকে এত দিন এই বিষয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি। এমনকি অযোধ্যা নিয়ে ২০১০-এ ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের পরেও এটা নিয়ে পুর্নবিবেচনার জন্যে কোর্টের কাছে কেউ আবেদন রাখেননি। এদিনের এই আর্জির ঘোর বিরোধিতা করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। কারণ অযোধ্যার বিবাদ প্রায় ১০০ বছর ধরে সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য ঝুলে আছে। তাই আগে বিতর্কিত জমি মামলার ফয়সালা হোক। এমনই দাবি হিন্দু সংগঠনের পক্ষে সি বৈদ্যনাথনেরও। সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলা পাঠানো নিষ্প্রোয়জন বলে মত তাঁদের।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের আপত্তি উপেক্ষা করে এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই ইস্যু সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানির প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা আগামীদিনে খতিয়ে দেখা হবে। ১৩ জুলাই পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!