আজ সাড়ে দশটায় অযোধ্যা রায়, দেশজুড়ে শান্তি বজায় রাখার বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের জাতীয় November 9, 2019 অবশেষে বহুপ্রতীক্ষিত অযোধ্যা রাম জন্মভূমি মামলার রায়দান হতে চলেছে আজ। সূত্রের খবর, আর কিছুক্ষণ পর অর্থাৎ বেলা সাড়ে দশটার সময় এই ঐতিহাসিক রায় দেবে দেশের শীর্ষ আদালত। যে রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে প্রায় সকল রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে প্রায় তামাম দেশবাসী। তবে এই রায়দানের পর যাতে কোনো রকম অশান্তির পরিবেশ তৈরী না হয়, তার জন্য বাড়তি সতর্ক প্রশাসন। বস্তুত, এদিনই অযোধ্যা সহ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা নিয়ে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে জানান উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল এবং মুখ্যসচিব। আর এরপরই শুক্রবার রাতে ঘোষণা করা হয় যে, এই ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা হতে চলেছে শনিবার। দেখতে দেখতে শনিবার সকালও চলে এল। রায় যাই হোক না কেন, সেই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সতর্ক রয়েছেন সকলেই। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং মুসলিম সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে সেই রায়ের আগে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 1991 সাল থেকে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সবসময় প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। কিন্তু এবার তারা সেই অযোধ্যা মামলার রায়ের আগে তাদের মন্দির নির্মাণের জন্য পাথর খোদাইয়ের কাজ বন্ধ রেখেছে – যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এদিকে ইতিমধ্যেই গোটা উত্তরপ্রদেশকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, আগামী 12 ই নভেম্বর কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসবেন। যেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই অযোধ্যা মামলার রায়ের পরে পূণ্যার্থীদের এই ভিড়কে কেন্দ্র করে যাতে কেউ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে, তার জন্য বাড়তি সতর্ক সকলেই। বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, অযোধ্যায় শান্তি স্থাপন করতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে 18 হাজার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, 4 হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাফ এবং আকাশপথে তিনটি চপার নজরদারির জন্য রাখা হচ্ছে। এছাড়াও 144 ধারা জারি, রায়দানের দিন থেকে শুরু করে সোমবার পর্যন্ত সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, দিল্লি এবং মুম্বাইতেও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু একটি রায়দান নিয়ে অশান্তি কখনই কাম্য নয় বলে জানিয়ে দিচ্ছেন সকলে। ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের তরফেও শান্তি স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তি রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি রামলালা, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া সহ সমস্ত পক্ষের তরফেই শান্তি রক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, অযোধ্যা মামলার এই রায়দান বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই রাম মন্দিরের ওপর ভরসা করেই বিজেপি বারবার নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। তাই সেদিক থেকে আজকের এই রায়দান যদি তাদের পক্ষে যায়, তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত কুসুমাকীর্ন হবে বলেই মনে করছেন একাংশ। কিন্তু যদি তা গেরুয়া শিবিরের পক্ষে না যায়, তাহলে হিন্দু ধর্মাবলম্বী অনেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে পারেন। অন্যদিকে, বাবরি মসজিদ নিয়ে মুসলিম ভাবাবেগও কম নয়। তাই সেদিক থেকে রায়দান যাই হোক না কেন, ভারতবর্ষের শাসকবর্গ চাইছেন দেশকে শান্ত রাখতে। রায় অযোধ্যা কেন্দ্রিক হলেও – তার তাৎপর্য গোটা দেশেই ফুটে উঠতে পারে – এই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসনগুলিকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে শেষ পর্যন্ত বেলা সাড়ে দশটায় অযোধ্যা মামলার রায়ে ঠিক কি জানায় সুপ্রিমকোর্ট, সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে গোটা দেশবাসী। আপনার মতামত জানান -