এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অযোধ্যায় রামমন্দিরের মালিকানা পাওয়া কে এই রামলালা? জানুন বিস্তারিত

অযোধ্যায় রামমন্দিরের মালিকানা পাওয়া কে এই রামলালা? জানুন বিস্তারিত


অযোধ্যা নিয়ে রায়দান সম্পন্ন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। 2.77 একর বিতর্কিত জমিটি রামলালার নামে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জমিতেই রামলালার মন্দির গড়ে উঠবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে দেড়শ বছর ধরে চলে আসা একটি বিবাদের অবশেষে মীমাংসা হল। অযোধ্যায় রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় সবদিক থেকেই নজিরবিহীন ছিল। তবে সবার আগে জানতে হবে কে ছিল এই রাম লালা, রাম মন্দিরের মালিকানা কার হাতে গেল?

হিন্দু পরম্পরা অনুযায়ী ভগবান শ্রী রামকে ছোটবেলাতে রামলালা বলা হত। পরম্পরা অনুযায়ী হিন্দু ধর্মে ভগবানকে ব্যক্তি হিসেবে মানা হয় এবং পুজো করা হয়। অর্থাৎ তাঁদের বৈধতা আছে বলেই মনে করা হয়। এক্ষেত্রে রামলালা বিরাজমানকে একজন বৈধ ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়েছে। যাঁর নিজের অধিকার ও কর্তব্য রয়েছে। যেকোনো সম্পত্তির মালিক ভগবান হতেই পারেন এবং তিনি আইন অনুযায়ী মামলা-মোকদ্দমা করতে পারেন। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এই মামলার সূত্রপাত।

বিতর্কিত জমিটিকে রাম জন্মভূমি বলে মানা হয়েছে এবং এখানেই দাবি করা হচ্ছে, শ্রীরামচন্দ্র নাবালক অবস্থায় ছিলেন। অর্থাৎ রামলালা নাবালক অবস্থায় অযোধ্যার এই জমিটিতে ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে রামলালাকে মান‍্যতা দিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে ত্রিলোকী নাথ পান্ডে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে 1949 সালের 23 ডিসেম্বর তৎকালীন বাবরি মসজিদে মূর্তি রাখার জন্য মামলা করা হয়। তারপর সেই মাসের 29 তারিখ মসজিদে তালা লাগানো হয়। 1989 সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন অধ্যক্ষ দেবকী নন্দন আগারওয়াল নিজেকে রামলালার সখা ঘোষণা করে ফরিদাবাদের আদালতে রাম-লালার জমির দাবি করেন।

অযোধ্যা মামলায় এদিন সুপ্রিম কোর্ট রামলালাকে মান‍্যতা দিয়ে রায়দান করেছে। অর্থাৎ রামলালাকেই বিতর্কিত 2.77 একর জমির মালিক ঘোষিত করে সেই জমিতে রামলালার মন্দির তৈরি হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকেও মসজিদ তৈরির জন্য পাঁচ একর জমি দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আপাতত সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি ট্রাস্ট তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিটি পদক্ষেপ এই ট্রাস্টের মাধ্যমে হবে বলেই জানা গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ভীষণভাবে ভারসাম্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। টানা 40 দিন ধরে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ শুনানির পরে এদিনের রায় ঘোষণা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট যে ট্রাস্ট তৈরি করার কথা বলেছে তা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সব পক্ষের মধ্যে স্থায়ী সমাধানের জন্যই বলা হয়েছে। আপাতত ট্রাস্টি বোর্ড গড়ার পালা এবং তারপর অযোধ্যার জমিতে রামলালার মন্দির তৈরি শুরু হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!