এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > কেন্দ্রের এই প্রকল্প নিয়ে কি এবার সুপ্রিম করতে বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে বাংলা? জল্পনা তুঙ্গে

কেন্দ্রের এই প্রকল্প নিয়ে কি এবার সুপ্রিম করতে বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে বাংলা? জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতিতে সারাবিশ্ব তথা ভারতবর্ষের যে কোন রাজ্য স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ব্যবস্থার দিক থেকে কতটা পিছিয়ে তাকেই যেনো চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল করোনা ভাইরাস। কেবলমাত্র ভারতবর্ষে বললে ভুল হবে কারণ সারা বিশ্বই এই চ্যালেঞ্জ এর কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। আধুনিকতার বড়াই করা বা আধুনিক প্রযুক্তিকে নিয়ে বাঁচার যে মানুষের অহংকার, তাকে যেন কোথাও না কোথাও ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এই করোনা পরিস্থিতি। ইদানীংকালের কেন্দ্র এবং রাজ্যের অনেকগুলি স্বাস্থ্যপরিসেবা মূলক ব্যবস্থা থাকলেও তাকে ধুলিস্যাৎ করেই যেন এখনও পর্যন্ত নিজের সংক্রমণ অব্যাহত রেখেছে এই করোনাভাইরাস। তবে বাংলায় কেন্দ্রের তৈরি স্বাস্থ্য প্রকল্প এখনও কেন চালু হয়নি, সম্প্রতি সেই নিয়ে যথেষ্ট সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।

কথা প্রসঙ্গে আগে কেন্দ্রের তৈরি আয়ুষ্মান যোজনার কিছু উদ্দেশ্য বলে রাখা দরকার।
প্রথমত: ভারতের ১০ কোটি পরিবার বা ৫০ কোটি ভারতীয়দের জন্য এই প্রকল্প স্বাস্থ্য সুরক্ষার দাবি রাখে।
দ্বিতীয়তঃ এটি সরকারী এবং বেসরকারী উভয় হাসপাতালগুলিতেই চিকিৎসা করানোর জন্য প্রতি বছর পরিবার প্রতি ৫ লক্ষ টাকা দেয়।

তৃতীয়ত: হাসপাতাল বা ডাক্তারের কার্যালয়ের মাধ্যমে নগদহীন পেমেন্ট এবং পেপারলেস রেকর্ডকিপিং এর সুবিধা পাওয়া যায়।
চতুর্থত: চিকিৎসার জন্য পরিবারের আকার, বয়স বা লিঙ্গ সম্পর্কিত কোনও বিধিনিষেধ নেই।
পঞ্চমত: পূর্ববর্তী সমস্ত চিকিৎসা ব্যবস্থাও এই প্রকল্পের আওতায় আসে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়া এই প্রকল্পে ৩ দিনের হাসপাতালে ভর্তি এবং ১৫ দিনের হাসপাতালে ভর্তি, ডায়াগনস্টিক যত্ন এবং ওষুধের খরচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই স্কিমটি কোনো ব্যক্তির নিজের রাজ্যের বাইরে এবং দেশের যে কোনও প্রকল্পটি এমপ্যেনড রয়েছে এমন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারবেন বলে সরকার থেকে জানানো হয়েছিল। তবে এই প্রকল্পে বর্তমানে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষাকেও সংযোজিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আর এখানেই সমস্যা হয়েছে।

জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্য দিল্লি, তেলেঙ্গানা ও ওড়িশাকে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাদের রাজ্যে কেন এই প্রকল্প চালু হয়নি তার কারণ এদের কাছে জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃতত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি ছিল, মমতা সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ সেই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পান আমজনতা থেকে উচ্চবিত্ত-নিম্নবিত্ত সকলেই। তাই তৃণমূল নেত্রীর মতে, তাঁর রাজ্যে ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’ চালু করার কোনও প্রয়োজন নেই।

অন্যদিকে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’ নিজেদের রাজ্যে চালু করেনি তেলেঙ্গানা সরকার, দিল্লি সরকার এবং ওড়িশার সরকার। শুনানির আইনজীবীর মতে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে মধ্যবিত্ত মানুষজন কোভিড চিকিৎসার জন্য প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে প্রচুর টাকা খরচ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই মানুষের সুবিধার্থে আয়ুষ্মান ভারত চালু হওয়ার প্রয়োজন আছে। তাই এবার পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা প্রশাসনকে শীর্ষ আদালতের কাছে কি জবাব দেয়, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!