এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > চাপের মুখে বড় সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের, স্বস্তিতে বিএড পড়ুয়ারা – জানুন বিস্তারিত

চাপের মুখে বড় সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের, স্বস্তিতে বিএড পড়ুয়ারা – জানুন বিস্তারিত


উদ্বেগের মধ্যেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.এড পড়ুয়ারা। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান,বীরভূম,বাঁকুড়া ও হুগলি জেলার ১৪৮ টি সেল্ফ ফিনান্সিং বিএড কলেজে ফার্স্ট সেমিস্টারের পড়ুয়াদের এনরোলমেন্টের বিজ্ঞপ্তি জারি করল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক অনিন্দ্যজ্যোতি পাল এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন যে,আগামী ১৮ জানুয়ারীর মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের এনরোলমেন্ট ফর্ম পূরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে। এই বিজ্ঞপ্তির কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিএড পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কলেজ পরিচালন কমিটির সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিদের মুখে হাসি ফুটল। দীর্ঘদিনের যাবতীয় উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠার অবসান হল তাঁদের।

চলতি শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২০১৮-২০ সেশনের প্রায় ১৫ হাজার বি.এড পড়ুয়াদের গত তিন মাস ধরে চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছিল এনরোলমেন্ট না হওয়ার কারণে। এই প্রক্রিয়া থমকে থাকায় আটকে রয়েছে ফার্স্ট সেমিস্টার পরীক্ষাও। এনসিটিই-ক্যালেন্ডার মোতাবেক ডিসেম্বর নাগাদ এই ফার্স্ট সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হয়ে জানুয়ারি থেকে নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করার কথা বি.এড পড়ুয়ারা।

শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের বৈধতার বিষয়টি চূড়ান্ত না হওয়ার কারণে এনরোলমেন্ট থেকে শুরু করে রেজিস্ট্রেশন সবকিছুই স্থগিত ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এনরোলমেন্ট নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করায় যাবতীয় প্রক্রিয়ায় গতি পেল। এবার খুব জলদিই পড়ুয়ারা ফার্স্ট সেমিস্টার পরীক্ষার নির্ঘন্ট জানতে পারবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্টমহল।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত,বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান,বীরভূম,বাঁকুড়া,গোটা হুগলি জুড়ে ১৪৮ টি সেল্ফ ফিনান্সিং বি.এড কলেজে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার আসনের ভিত্তিতে চলতি শিক্ষাবর্ষে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে মাত্র আড়াই হাজার পড়ুয়াদের বি.এড কলেজগুলোতে ভর্তি করা হয়। বাকি অধিকাংশ ফাঁকা আসনটাই পূরণ করেছিল ম্যানেজমেন্ট কোটায় ছাত্রছাত্রী ভর্তি করে। এই ব্যাপারটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এলে ইচ্ছেমতো ছাত্রভর্তির ঘটনায় এনরোলমেন্ট আটকে দেওয়ার পরিকল্পনা করে বিশ্ববিদ্যালয়।

এ ব্যাপারে গত ২৪ ডিসেম্বর এগজিকিউটিভ কাউন্সিল(ইসি)-র বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়,এরকম ভুল ভবিষ্যতে আর হবে না,এই মর্মে ক্ষমা চেয়ে যদি মুচলেখা জমা দেয় তাহলে কলেজগুলোর এনরোলমেন্ট করানো হবে। এই রেজ্যুলিউশনের কপি গত ৩১ ডিসেম্বর নাগাদ নিয়ামকের অফিসে এসে পৌঁছায়।

এরপর ১৪৮ টি কলেজের প্রায় সবকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবী মতো ক্ষমা চেয়ে মুচলেখা জমা করলেও এখনো সিংহভাগ কলেজেরই এনরোলমেন্ট করানো হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এরমধ্যে সবথেকে মারাত্মক যে অভিযোগটি,সেটি ছিল- বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ কলেজ থেকে ‘খাম’ চাইছিল। ৩০-৩৫ টি কলেজ এই শর্ত মেনে নিলেও শতাধিক কলেজের এনরোলমেন্ট আটকে ছিল।

এরমধ্যে একটি দালাল চক্রের হাত নিয়েও অভিযোগ উঠছে। সবমিলিয়েই এই ইস্যু নিয়ে বেশ অনেকদিন ধরেই জলঘোলা হচ্ছিল। এবং সম্প্রতি এই বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই সমস্ত বিতর্ক এড়াতে তড়িঘড়ি করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!