এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাবুল-গড়ের দখল নিতে উন্নয়নের ডালি নিয়ে আসরে খোদ মমতা? আশায় বুক বাঁধছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা?

বাবুল-গড়ের দখল নিতে উন্নয়নের ডালি নিয়ে আসরে খোদ মমতা? আশায় বুক বাঁধছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামীকাল রানীগঞ্জ শহরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রথমবারের প্রশাসনিক সভা। আসানসোল দুর্গাপুরের মত উন্নত শহরগুলি ছেড়ে প্রাচীন এই শহরে মুখ্যমন্ত্রী আসায় এই শহরের নানাবিধ সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে আশাবাদী মানুষ। অন্যদিকে উন্নয়নের ডালি সাজিয়ে বাবুল সুপ্রিয়র গড়ে তৃণমূল দখল নিতে পারে বলে আশাবাদী তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিকে নজর সকলের।

আজ মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরের নবনির্মিত সার্কিট হাউজে রাত্রি যাপন করতে চলেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার রানীগঞ্জের সিয়ারসোলের মাঠে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সভা। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য অস্থায়ী হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে সভাস্থলের নির্মাণ কাজ। এলাকার নিরাপত্তা বাড়াতে পুরো এলাকায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি। সভার দুদিন আগে থেকেই বৈধ অনুমতি পত্র না থাকলে কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না সভাস্থলে। উচ্চপদস্থ পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

একটা সময় রানীগঞ্জ ছিল বেশ বর্ধিষ্ণু শহর। যেখান থেকে প্রথম কয়লা উত্তোলন করেছিলেন কবিগুরুর ঠাকুরদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। এছাড়া কয়লা পরিবহনের জন্য দক্ষিণবঙ্গের প্রথম রেলপথ গড়ে উঠেছিল এখানেই। ১৮৪৭ সাল থেকে ১৯০৫ পর্যন্ত এটি ছিল মহুকুমা শহর। ১৮৭৬ সালে প্রথম রানীগঞ্জ পুরসভা গঠন করা হয়। সেসময় ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র ছিল রানীগঞ্জ। পরবর্তীকালে আসানসোল উন্নত হলে রানীগঞ্জ পিছিয়ে পড়ে। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এই শহরে জনবসতি, বাজার, রাস্তা সবকিছুর জন্য ভোগান্তির শিকার হতে হয় শহরবাসীকে। এরপর এনএসবি রোড জাতীয় সড়কের মর্যাদা পেলে আরো সমস্যা বাড়ে, বাড়ে যানজট। নানা জটিলতার কারণে বাইপাস নিয়ে আলোচনা হতে পারেনি। কোনো সরকারি উন্নত হাসপাতালও এখানে নেই।

আপনার মতামত জানান -

পশ্চিম বর্ধমান জেলা ঘোষণার পর রানীগঞ্জের মানুষ এই শহরকে মহকুমা গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন। অনেক আন্দোলন হলেও, সেই দাবি পূরণ হয়নি। এদিকে সড়ক ব্যবস্থাও ভালো নয়। রানিসায়ের মোড় হয়ে একটি বাইপাস থাকলেও বেশিরভাগ গাড়ি শহরের ভেতর দিয়েই যাতায়াত করে। মেজিয়া ব্রিজের অবস্থাও শোচনীয়। দ্বারকানাথ ঠাকুরের নামে অডিটোরিয়াম তৈরি হবার ঘোষণা হলেও সেখানে শুধুমাত্র প্রাচীর বসেছে। এবার মুখ্যমন্ত্রী আসায় শহরের একাধিক সমস্যার সমাধান হতে পারে অনেকে আশাবাদী।

এ প্রসঙ্গে সিটিজেন ফোরামের সভাপতি রামদুলাল বসু জানালেন, ” মহকুমা শহর থেকে বাইপাস দীর্ঘদিনের দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সদর্থক ভূমিকা নেবেন বলে আশা করি। ” রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন প্রাচীন এই শহরে উন্নয়নের ডালি সাজিয়ে বিজেপির শক্ত গড়ে দখল নিতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে তৃণমূল। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে আশায় বুক বাঁধছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!