এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ফের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ঝালমুড়ি খওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তৃণমূলকে কি বার্তা দিলেন বাবুল,জেনে নিন

ফের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ঝালমুড়ি খওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তৃণমূলকে কি বার্তা দিলেন বাবুল,জেনে নিন

রাজ্য বিজেপি সভাপতি তো বটেই,পদ্মশিবিরের সৈনিকরাও দফায় দফায় কম বিতর্কে জড়ান না! লোকসভের ভোটের দিনক্ষণ যতোই এগিয়ে আসছে ততোই যেন বিতর্ক আরো বেশি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তৃণমূল বনাম বিজেপি আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে সর্বদা শরগরম থাকছে বাংলার রাজনীতি।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই আসনে বসে ঝালমুড়ি খেয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আসানসোলের সাংসদ তথা হেভিওয়েট বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়। প্রতিপক্ষের সঙ্গে সৌজন্যমূলক রাজনীতি করতে গিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তো বটেই,এমনকী অন্যান্য রাজনৈতিকমহলেও ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। ঘরে বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠে গিয়েছিল।

তবে নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে নিজের অটল অবস্থান বারবার প্রকাশ্যে জানিয়েছেন বাবুল। বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে সৌজন্য দেখিয়ে তিনি দলবিরোধী কোনো কাজ করেননি। বরং রাজ্যসরকার যে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতি কোনো সৌজন্যমূলক আচরণ করে না সেই উদাহরণ তুলে ধরলেন এদিন।

বললেন,তিনি আসানসোলের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও এই স্থানে রাজ্য সরকারের আয়োজিত কোনো উৎসব,অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। শুধু তাই নয়,আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার কিংবা পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক সৌজন্যবশত কখনও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতেই আসেনি।

অথচ আসানসোলে বিজেপির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এখানকার তৃণমূলের বিধায়করাও আমন্ত্রণ পান। বাবুল চেয়েছিলেন আসানসোলের সাতজন বিধায়ক এবং একজন সাংসদ মিলে এলাকাকে উন্নয়ণের শীর্ষে পৌছে দিতে। কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না শুধুমাত্র শাসকদলের অসহযোগী আচরণের কারণে। আসলে মুখে উন্নয়নের বুলি আওড়ালে কী হবে কার্যক্ষেত্রে সেটা করে না তৃণমূল।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কেবল নিজেদের কুর্সি সামলাতেই ব্যস্ত শাসকদল। যে কোনো নির্বাচন আসার আগে জনস্বার্থমুখী একাধিক কর্মসূচির কথা বলে কেবল রাজ্যবাসীর ভোট পেতে। ভোট মিটে গেলেই সেকথা ভুলে যায় রাজ্যসরকার, গর্জে উঠে বললেন বিজেপির এই প্রথম সারির নেতা।

উল্লেখ্য,কাঁকসায় দলীয় বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে সম্প্রতি খুন হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ নামে এক বিজেপি কর্মী। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এবং পরিবারের সদস্যদের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দিতেই দুর্গাপুর আসেন বাবুল সুপ্রিয়। সেখানেই রাজ্যে ক্রমবর্ধমান খুনের রাজনীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে রাজ্যসরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি।

বলেন,রাজনৈতিক দলের কাজ করতে গিয়ে হিংসার শিকার হচ্ছে নিষ্পাপ যুবকরা। উন্নয়নকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কেবল খুনের রাজনীতি করতে ব্যস্ত মমতা সরকার। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার বালাই নেই। রাজ্যসরকারের এই স্বৈরাচারী আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এবং রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরায় ফিরিয়ে আনতে রথযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু রাজ্যে শান্তি ফিরে আসুক এমনটা কখনোই চায় না তৃণমূল। তাই ইচ্ছে করে বারবার বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচি আটকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এমনভাবেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন আসানসোলের সাংসদ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!