এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনায় মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ বাবুল সুপ্রিয়র! অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকারের?

করোনায় মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ বাবুল সুপ্রিয়র! অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকারের?

করোনাকে মোকাবিলা করতে প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছিল সকলকে। সর্বদলীয় বৈঠক থেকে শুরু করে, “এই সময় রাজনীতি করবেন না” বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমস্ত বার্তা দিয়েছিলেন, তা দেখে সকলেই ভেবেছিলেন যে, মহামারীকে আটকাতে অন্তত সরকার সদর্থক পদক্ষেপ নিচ্ছে। দল, রং না দেখে বিরোধীদের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছিল। মানুষের মনেও তৈরি হয়েছিল আশার আলো।

কেননা মহামারীকে আটকাতে সকলে এক হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ সুদিন দেখতে পাবে বলেই মনে করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। করোনাতে মৃত্যু নিয়ে রাজ্য সরকার প্রকৃত তথ্য ‘চেপে যাচ্ছে’ বলে অভিযোগ করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, রাজ্যে করোনা মোকাবিলা অত্যন্ত সদর্থক ভাবেই করা হচ্ছে। আর এতে প্রাণঘাতী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তবে রাজ্য এই ধরনের কথা বললেও, এবার তথ্য তুলে ধরে রাজ্য সরকারকে কোণঠাসা করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়‌। এদিন তিনি বলেন, “কলকাতা পৌরসভা নিজেরা গত কয়েকদিনে দশটি মৃতদেহের সৎকার করেছে। মৃতদের পরিবারের হাতে ওইসব দেহ তুলে দেয়নি প্রশাসন। কারণ তারা সকলে করোনা পজেটিভ।” আর বাবুল সুপ্রিয়র এই কথাতেই এখন প্রবলভাবে চাপে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন। কেননা যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হত, তাহলে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তা তুলে না দিয়ে যেভাবে করোনা হয়নি বলা হচ্ছে, আবার পরিবারের হাতেও সেই মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়নি, তাতে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ‘চেপে যাচ্ছে’ রাজ্য সরকার বলেই দাবি করেছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। আর বিজেপি সাংসদের এই বক্তব্যে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ এই বক্তব্য তুলে ধরে রাজ্য সরকারকে প্রবলভাবে বিপাকে ফেলায় পাল্টা ময়দানে নামতে হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে।

সূত্রের খবর, এদিন নবান্ন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “এই নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই। কারণ এই ধরনের তালিকা প্রকাশ করার কোনো আইনি অধিকার পৌরসভার নেই। মৃত্যুর কারণ লেখার কোনো অধিকার তাদের নেই। এই কঠিন সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার এক হয়ে কাজ করছে। এই নিয়ে অযথা মিথ্যা খবর ছড়ানোর প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রের কোনো প্রতিনিধি স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য ছাড়া অন্য কোনো তথ্য দিয়ে কথা বললে আমরা তার জবাব দিতে বাধ্য নই।”

এরপরেই তিনি স্পষ্ট করে দেন, “সময়টা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার। অভিযোগ তোলার সময় এটা নয়।” আর বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যকে খণ্ডন করে রাজ্যের মুখ্যসচিবের এই ধরনের মন্তব্য রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে সাংবাদিক বৈঠক করছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যসচিব। তাহলে কি আদতে বাবুল সুপ্রিয় করোনা তথ্য নিয়ে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন?

আর এসব দেখে বাংলার জনতা জনার্দন এখন একটাই আফশোস করছে যে, প্রথম দিকে তারা হয়ত বা ভুল ভেবেছিলেন। প্রথমে সকলের একযোগে কাজ করা দেখে সকলেই ভেবে নিয়েছিল যে, বাংলায় হয়ত করোনা মোকাবিলা করতে গেলে কোনো রাজনীতি হবে না। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন করোনা অবহেও রাজনীতির রঙ স্পষ্ট হয়ে উঠছে! এই অবস্থায় বাংলার মানুষের জন্য করোনা লড়াইটা কি আরও কঠিন হয়ে গেল? উত্তরের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া বোধহয় আর কোনও উপায় নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!