ভিডিও পোস্ট করে “দিদির ভোটব্যাঙ্ক” চিনিয়ে দিলেন বাবুল সুপ্রিয়! সরগরম রাজ্য- রাজনীতি কলকাতা রাজ্য হাওড়া-হুগলি April 29, 2020 আইনকে রক্ষা করতে গিয়ে এবার রক্ষাকর্তারাই বিপদের মুখে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। বর্তমানে করোনা ভাইরাসকে আটকাতে লকডাউন চলছে। বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ প্রশাসন নিজেদের জীবনকে পায়ের ভৃত্য করে রাস্তায় প্রহরীর ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে বাইরে বেরোনো মানুষকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার সাথে সাথেই, সেই পুলিশকে আক্রমণের শিকার হতে হল। যার পরেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, এদিন লকডাউনের মধ্যেই বাইরে বেরোতে দেখা যায় হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে বেশ কিছু মানুষকে। জানা যায়, এরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত মানুষ যাতে বাইরে না থাকেন, তার জন্য তাদেরকে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু এর পরেই তৈরি হয় উত্তেজনা। অভিযোগ, উত্তপ্ত কিছু যুবক সেই পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু পুলিশকর্মীকে মারা হয় বলেও অভিযোগ। আর পুলিশের পক্ষ থেকে মানুষের ভালর জন্য বাড়িতে প্রবেশ করতে বলা হলেও, সেই পুলিশ আক্রমণের শিকার হওয়ায় এখন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সূত্রের খবর, এই গণ্ডগোলের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেখানে তিনি লেখেন, “এই দেখুন দিদির ভোটব্যাঙ্ক। পুলিশ কিভাবে পালাচ্ছে, নিজের চোখে দেখুন। কোনো মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।” অর্থাৎ কেন্দ্রের এই মন্ত্রী একথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেমন আক্রমণ করলেন, ঠিক তেমনই “দিদির ভোটব্যাঙ্ক” বলতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলাকারী ব্যক্তিদের বোঝানোর চেষ্টা করে তৃণমূলের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে দিলেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলছেন, সত্যিই তো তাই! কেন পুলিশ কিভাবে রোজ রোজ আক্রমণের শিকার হতে হবে? নেটিজেনদের মতে, কেন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না! পুলিশ যেখানে মানুষের ভালোর জন্য কাজ করছে, সেখানে তাদের ওপর এই হামলা সত্যিই অন্যায় বলে দাবি করছেন সকলে। এদিকে এই ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটা একেবারেই নিন্দনীয় কাজ। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে গিয়ে যদি পুলিশকে এভাবে আক্রান্ত হতে হয়, নিশ্চিতভাবে এর থেকে ঘৃণার কিছু হতে পারে না। প্রশাসনকে বলছি, কঠোরভাবে এটা দেখার জন্য।” তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য আমরা দলীয়ভাবে দেখব এবং সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখব যে, কেন এটা হয়েছে। এটা সমর্থনযোগ্য নয়। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” তবে রাজীববাবু যে কথাই বলুন না কেন, বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন, তাতে করোনা ভয়াবহতার মধ্যে তৃণমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়ল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -