এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাবুল সুপ্রিয়র খাসতালুকে ঘাসফুলের ঝড় নিশ্চিত করতে এবার বড়সড় উপহারের ডালি নিয়ে হাজির মমতা?

বাবুল সুপ্রিয়র খাসতালুকে ঘাসফুলের ঝড় নিশ্চিত করতে এবার বড়সড় উপহারের ডালি নিয়ে হাজির মমতা?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল নেত্রী এবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রটি উদ্ধার করার জন্য সর্বশক্তি নিয়ে নেমেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এবং সেক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রানীগঞ্জের মানুষের জন্য বড়োসড়ো ঘোষণা নিয়ে 8 ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রানীগঞ্জে আসছেন প্রশাসনিক সভা করতে। একুশের বিধানসভা নির্বাচন এসে গেছে প্রায় দোরগোড়ায়। আর তাই এবার একের পর এক উপহার রাজ্যবাসীর জন্য হাজির করছেন তৃণমূল নেত্রী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রানীগঞ্জে এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী জনসভা করে গিয়েছেন।

কিন্তু প্রশাসনিক সভা এবার এই প্রথম। সূত্রের খবর, প্রশাসনিক সভা থেকেই দীর্ঘদিন ধরে নানা টালবাহানা চলতে থাকা রানীগঞ্জ কয়লা খনি পুনর্বাসন প্রকল্পের সুরাহা করেছেন এবার মুখ্যমন্ত্রী। সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, সাড়ে তিন হাজারের বেশি পরিবারের হাতে এবার পুনর্বাসন প্রকল্পের পরিপ্রেক্ষিতে ফ্লাটের চাবি তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি অন্ডাল বিমান উপনগরীর জন্য যেসব চাষিরা জমি হারিয়েছেন, তাঁরাও নতুন জমি পেতে চলেছেন। দীর্ঘদিন যাবত এই পরিকল্পনাটি হলেও তা এতদিন বিভিন্ন কারণে রূপায়িত হয়নি। খুব স্বাভাবিকভাবেই রানীগঞ্জবাসীর মুখে এবার হাসি।

দীর্ঘদিন ধরে চলা দুটি সমস্যার সমাধান যেভাবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী করলেন, তা আগামী দিনে এই জেলায় তৃণমূল শিবিরকে যথেষ্ট অ্যাডভান্টেজ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিরোধী শিবির এ প্রসঙ্গে কোনরকম গুরুত্ব দিতে নারাজ। দীর্ঘদিন ধরে বীরভূমের লোবা ও অন্ডালে কৃষক আন্দোলন চলেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আগেই লোবা অঞ্চলের সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে আর এবার চিরতরে মিটতে চলেছে অন্ডাল সমস্যা। যদিও এখনও বিভিন্ন সমস্যা রয়ে যাচ্ছে এই এলাকায়। অন্যদিকে অন্ডাল সমস্যা মিটে যাওয়ার লক্ষণ মিলতেই তৃণমূল শিবিরেও খুশির হাওয়া। তবে আসানসোল রাণীগঞ্জের ক্ষেত্রে কয়লা খনি পুনর্বাসন প্রকল্প ছিল সবথেকে বড় ইস্যু।

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে অভিযোগ ছিল, বছরের পর বছর ধরে কয়লা খনি অঞ্চলে বহু পরিবার বঞ্চিত হচ্ছে। তাঁদেরকে কোথাও ক্যাম্পে থাকতে হচ্ছে, কোথাও ধ্বসের জেরে তাঁদের প্রাণহানি ঘটছে, অনেকে আবার বিপজ্জনক জেনেও নিজের জমিতেই বাস করছেন। এলাকার মানুষের অভিযোগ, বিধানসভা ভোট থেকে শুরু করে লোকসভা নির্বাচন যেকোনো ক্ষেত্রেই পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে বরাবর রাজনীতি হয়েছে। ভোটের আগেই বিভিন্ন পরিকল্পনা শোনা যায় এবং ভোট পার হলেই সেই পরিকল্পনার কিছুই আর পাওয়া যায় না। অবশেষে দীর্ঘ দিনের পর এবার প্রত্যাশিত পুনর্বাসন প্রকল্পে ফ্ল্যাট দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভা থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার প্রথম পর্যায়ে 3562 জন ফ্ল্যাটের চাবি পাবেন। প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে পাঁচজনকে ফ্ল্যাটের চাবি দেওয়া হবে। পরবর্তী পর্যায়ে বাকি ফ্লাটগুলির বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে খবর। রাজনৈতিক মহলের সূত্রে জানা যাচ্ছে, কয়লা খনি অঞ্চলে 30 হাজার পরিবার মূলত রানীগঞ্জ, জামুরিয়া, আসানসোল দক্ষিণ, আসানসোল উত্তর বিধানসভা এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সবকিছু যদি ঠিকঠাকভাবে হয়, তাহলে অবশ্যই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পুনর্বাসন প্রকল্পের ইতিবাচক ফল মিলবেই তৃণমূলের পক্ষে। অন্যদিকে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মহলের নজর রানীগঞ্জের প্রশাসনিক সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বার্তা দেন।

ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী রানীগঞ্জের যে মাঠে প্রশাসনিক সভা করবেন, তার পাশেই তৈরি করা হয়েছে হেলিপ্যাড। বৃহস্পতিবার পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি যেখানে প্রশাসনিক সভা হবে সেই অঞ্চলটি ঘুরে দেখেন। এখনো পর্যন্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী রানীগঞ্জের প্রশাসনিক সভা করেই মুখ্যমন্ত্রী যাবেন দুর্গাপুরে। সেখানে সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করে তিনি বুধবার জেলা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা নির্বাচনে কয়লা খনি অঞ্চলের মন পেয়েছিল গেরুয়া শিবির।

আর তাই সেখানকার বাসিন্দারা কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়কে সাংসদ নির্বাচিত করেছিল। অনেকেই মনে করেন, সেক্ষেত্রে তৃণমূলের ওপর পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে যে ব্যাপক ক্ষোভ ছিল তারই প্রভাব পড়েছে লোকসভা নির্বাচনে। আর তাই এবার তৃণমূল নেত্রী আর কোন চিন্তাভাবনা না করে আসানসোল, রানীগঞ্জ কেন্দ্রে রানীগঞ্জ কয়লাখনি পুনর্বাসন প্রকল্পের সমাধান করেছেন। এবার দেখার বিধানসভা নির্বাচনে রানীগঞ্জ, আসানসোলের মানুষ তৃণমূলের ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলে কিনা।

আপনার মতামত জানান -

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!