এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাঁধ ভাঙ্গনে রাজীবকে চাপে ফেলতে চাইলেও, পাল্টা চাপে পড়ে গেলেন মমতা! কৌশলী পদক্ষেপ প্রাক্তনীর!

বাঁধ ভাঙ্গনে রাজীবকে চাপে ফেলতে চাইলেও, পাল্টা চাপে পড়ে গেলেন মমতা! কৌশলী পদক্ষেপ প্রাক্তনীর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী ঘাসফুল শিবির ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। যার মধ্যে অন্যতম শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় সরকারের মন্ত্রিসভায় তারা দুজনেই একাধিক দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। সেদিক থেকে বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই সতীর্থ গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোয় যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ফলাফল প্রকাশের পর তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, দলে কেউ অপরিহার্য নয়।

এদিকে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরই ভয়াবহ দুর্যোগে রাজ্যের একাধিক বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে। একসময় দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের সেচমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন বর্তমান বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে বিগত দিনে বাঁধ তৈরি করা হলেও, কেন সেই বাঁধগুলো ভাঙছে, তা নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ এই তদন্তের ফলে বর্তমান বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলার যে একটা কৌশল গ্রহণ করতে চলেছে ঘাসফুল শিবির, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মন্তব্যের পর সুকৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করে পাল্টা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী চাপে ফেলে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে বিরোধীতা না করে নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তিনি কাজ করেছেন বলে দাবি করতে দেখা গেল রাজীববাবুকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভয়াবহ দুর্যোগ “ইয়াস” এর ফলে রাজ্যের মোট 134 টি বাঁধ ভেঙেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে কিছুদিন আগেই তৈরি করা এই বাঁধগুলো কি করে ভাঙল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ নাম না করে নিজের প্রাক্তন সতীর্থ তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই যে আঙুল তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সুকৌশলী মন্তব্য করতে দেখা গেল বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “2012 সাল থেকে 2018 সাল পর্যন্ত সেচ দপ্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ও সহযোগিতায় সমস্ত কাজ করেছি। দুই মেদিনীপুর ও দুই 24 পরগনায় বহু নির্মাণ হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার করেছি। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি, তা অস্বীকার করতে চাই না।

আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম, তখন বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের ফলে বড় বড় ঝড় থেকে গ্রামের পর গ্রাম রক্ষা করেছে এই নদীবাঁধ। তারপর আমার হাতে আর দায়িত্ব ছিল না। তাই তা নিয়ে আমি আর মন্তব্য করতে চাই না।” স্বভাবতই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তিনি যখন মন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্থাৎ নাম না করে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিগতদিনে নিজের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় বাঁধ তৈরি করার বিষয়টিকে তুলে ধরে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বর্তমান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর যে চাপ সৃষ্টি করতে চলেছে রাজ্যের বর্তমান সরকার, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

আর এই পরিস্থিতিতে কার্যত সুর নরম করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতাতেই তিনি সমস্ত কাজ করেছেন বলে পাল্টা তৃণমূল নেত্রীকে চাপে ফেলে দেওয়ার কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যা রাজ্যের সরকার বা তৃণমূলের পক্ষে কিছুটা হলেও বেগতিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!