এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজনৈতিক দলের চাপের মুখে প্রাণ ভয়ে বাদুড়িয়া থেকে পলাতক সরকারি চিকিৎসক

রাজনৈতিক দলের চাপের মুখে প্রাণ ভয়ে বাদুড়িয়া থেকে পলাতক সরকারি চিকিৎসক


রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে মজবুত করতে যখন চিকিৎসকদের কোনোরুপ রাজনৈতিক রঙ বা প্রলোভনে পড়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করছেন স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক তখনই, কোনো এক রাজনৈতিক দলের নাম করে লাগাতার হেনস্তার শিকার হয়ে অবশেষে হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হলেন ধীদীপন সরকার নামে এক চিকিৎসক। আর এই ঘটনায় বর্তমানে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বাদুড়িয়ার রুদ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।

সূত্রের খবর, কখনো কোনো রোগীকে বলপূর্বক হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য হুমকি, তো কখনো বা রাজনৈতিক দলের ভয় দেখিয়ে শাসানি – লাগাতার এইরকম হুমকির মুখে পড়ে গত শনিবার দুপুরেই সেই রুদ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার ধীদীপন সরকার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

জানা গেছে, চিঠিতে ওই মেডিক্যাল অফিসার অভিযোগ করেছেন, গত 9 জানুয়ারি এক ব্যক্তি জরুরি বিভাগে এক তরুণীকে ভর্তি করাতে এলেও তার অতটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু না হওয়ায় সেই তরুণীকে ভর্তি না করায় সেই চিকিৎসককে প্রবল হেনস্থা করেন এক ব্যক্তি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি রাজনৈতিক দলের ভয় দেখানো হয় সেই চিকিৎসককে। আর এরপর পুলিশে খবর দেয়া হলে তাঁরা চলে গেলেও গত শুক্রবার এক মৃত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে এসে তার চিকিৎসার জন্য ফের চাপ দেওয়া হয় সেই ধীদীপন সরকারকে। আর লাগাতার এইভাবে চাপের মুখে পড়ে অবশেষে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে চিঠি দিয়ে নিজের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান তিনি। কেন তিনি চাকরি থাকতে চাইছেন?

এদিন এই ব্যাপারে সেই মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার ধীদীপন সরকার বলেন, “কথা বলার মত মানসিক অবস্থা আমার নেই। এর আগে এগরা হাসপাতাল আমাকে হেনস্থা করা হয়েছে। তারপর আমাকে রুদ্রপুরে অস্থায়ী পোস্টিং দেওয়া হলেও এখানে কাজ করার মত সুস্থ পরিবেশই নেই। তাই বাধ্য হয়ে পুরো বিষয়টি আমি শনিবার দুপুর পর্যন্ত ডিউটি করে লিখিতভাবে হাসপাতাল থেকে বাড়ি আসার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। আমার সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমি আর হাসপাতলে যাব না।” কিন্তু কেন এইভাবে একজন মেডিক্যাল অফিসারকে হুমকির মুখে পড়তে হবে?

এদিন এই প্রসঙ্গে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি এখনও এই বিষয়টি শুনিনি। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এখনও আমায় কিছু জানাননি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” সব মিলিয়ে এবার কোনো এক রাজনৈতিক দলের চাপের মুখে পড়ে প্রাণের ভয়ে অবশেষে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়তে বাধ্য হলেন সরকারি চিকিৎসক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!