এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাগনানের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ, জল্পনা তুঙ্গে!

বাগনানের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ, জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে তৃণমূলে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণের টাকা না দেওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য অপরাধমূলক ঘটনা, যে কোনো ঘটনায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকলেই তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। আর এবার বাগনানে এক কিশোরীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কুশ বেরা এবং তার স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত সদস্য রমা বেরাকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল হাওড়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

আর তৃণমূলের এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। কেননা অতীতে অনেক গুরুতর অভিযোগের ঘটনায় কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে রাজ্যের অনেক তৃণমূল নেতাকর্মীদের। কিন্তু তারপরেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেভাবে সেই সমস্ত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেখাল, তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে বলে মনে করছে একাংশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত দুইদিন আগে বাগনানের গোপালপুর এলাকায় তৃনমূল নেতা কুশ বেরার থেকে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। আর এর পরেই সেই কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তার মায়ের মৃত্যুর জন্য বাগনান থানার পুলিশ গ্রেফতার করে কুশ বেরা এবং তার সহযোগী শোভন মণ্ডলকে। এদিকে কুশ বেরা এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হওয়ায় এবং তার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ ওঠায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কিনা, তা নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। তবে গোটা ঘটনায় এবার সেই তৃণমূল নেতাকে বহিষ্কার করে মানুষের কাছে নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে উদ্যোগী হল ঘাসফুল শিবির।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

সূত্রের খবর, এদিন কুশ বেরা এবং তার স্ত্রী রমা বেরাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানান হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূলের সভাপতি পুলক রায়। তিনি বলেন, “রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার উন্নয়ন ও মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছে। এই ধরনের অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না। তাই কুশ বেরা এবং তার স্ত্রী রমা বেরাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।” এদিকে এই ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের পাশে যে তৃণমূল কংগ্রেস সব সময় থাকবে, তাও জানিয়ে দেন পুলকবাবু। তিনি বলেন, “নির্যাতিতার পরিবারকে আইনি সহায়তা প্রদান সহ সমস্ত রকমের সহায়তা প্রদান করা হবে। ওই পরিবারের যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে, তার পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হলেই দলের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।” এদিকে দলের নেতাকে অপরাধমূলক কাজের জন্য বহিষ্কার করা প্রসঙ্গে কি বলছেন বাগনানের তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেন?

এদিন তিনি বলেন, “ঘটনার পরই দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক, কাউকে ক্ষমা করা হবে না। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় কোনো অভিযুক্তকে ক্ষমা করা হবে না।” অর্থাৎ তৃনমূল নেতৃত্ব এবার মুখে নয়, কাজে বিশ্বাসী হয়ে দলের শুদ্ধিকরণের স্বার্থে অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িত তৃণমূল নেতাকে বহিষ্কার করে মানুষের কাছে প্রমাণ করার চেষ্টা করল যে, তৃণমূল কোনো রকম অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে নারাজ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি চেষ্টা করবে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির কথা তুলে ধরে তাদের কোণঠাসা করতে। তাই এমতাবস্থায় গেরুয়া শিবিরের প্রচার কেড়ে নিতেই এখন দলীয় স্তরে কোনো নেতা যদি কোনো অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িত হন, তাহলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে জনসাধারণের কাছে নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি উপস্থাপিত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাগানানের ঘটনা অন্তত সেই কথাতেই সীলমোহর দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!