এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে আবারও শুভেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী করার জোরদার আবেদন

বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে আবারও শুভেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী করার জোরদার আবেদন


এবার বহরমপুরে আগামী 19 শে জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড সভার প্রস্তুতি ও প্রচারে এসে মুর্শিদাবাদের বাদশা বলে পরিচিত কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করলেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

জানা যায়, এদিন বহরমপুর ও রঘুনাথগঞ্জে ব্রিগেডের সমর্থনে দুটি সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর বহরমপুরের এই সভায় উপস্থিত হয়েই রাজ্য কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, এদিনের এই সভায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি সুব্রত সাহা, চেয়ারম্যান মহম্মদ সোহরাব, সহ-সভাপতি, 2 কার্যকরী সভাপতি, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মন্ডল, দলীয় বিধায়ক, মহকুমার সভাপতি অরিৎ মজুমদার, টাউন তৃণমূলের সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্যরা।

আর এই সভায় আগামী লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীকে হারানোর জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এখানে অধীরকে হারাতে শুভেন্দুকে লাগবে না। পঞ্চায়েত সমিতির এক নেতাই ওনাকে হারিয়ে দেবেন।”

এদিকে মুর্শিদাবাদ জেলার উন্নয়ন ও বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর সখ্যতা নিয়েও এদিন হাত শিবিরের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলে এখানকার বিজেপি নেতাদের থেকেও যোগী আদিত্যনাথের বন্ধু অধীর চৌধুরী বেশি কষ্ট পেয়েছেন। অধীর বাবু কুড়ি বছর ধরে এখানকার সাংসদ। তা সত্ত্বেও এখানকার কোনো উন্নয়নই করেননি। মানুষের সঙ্গে উনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাইতো আজকে অরিৎ মজুমদারের মতো নেতারা তৃণমূলে এসেছে।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই মুর্শিদাবাদ জেলায় ঠিক কি হতে চলেছে সেই প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “জঙ্গিপুর সহ মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে আমরা বিপুল ভোটে জিতব।” তবে শুধু মুর্শিদাবাদই নয়, দক্ষিণ মালদা আসনটিতেও তৃণমূল দেড় লক্ষের বেশি ভোটে জয়লাভ করবে বলেও এদিন আশা প্রকাশ করেন শুভেন্দু বাবু।

এদিকে এদিনের তৃণমূলের এই অনুষ্ঠানে ফের ঐকবদ্ধতার ছোয়া লক্ষ্য করা যায়। কেননা কদিন আগে দলীয় কার্যালয়ের মধ্যেই আক্রান্ত হতে হয় মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের অশোক দাসকে। যে ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগই প্রকাশ্যে আসে। আর এতেই অস্বস্তিতে পড়ে শাসক দল। তবে এদিন সেই সমস্ত দলীয় নেতাদের একই মঞ্চে হাজির করে ফের একতারই নজিড় গড়ার চেষ্টা করল তৃণমূল।

তবে এদিনের অনুষ্ঠানে সব থেকে বড় চমক দেখা যায় যখন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক সুব্রত সাহা বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে সেই জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী হিসেবে দাবি করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত শুভেন্দু অধিকারী অসম্ভব পরিশ্রমী ও দক্ষ সংগঠক। আমরা চাই তিনি এখান থেকে প্রার্থী হোক। তিনি এখান থেকে প্রার্থী হলে আমরা আড়াই লক্ষের বেশি ভোটে জিতব।”

তবে সুব্রত বাবুর এই আবেদন খারিজ করে দিয়ে দলনেত্রী যাকে প্রার্থী হিসেবে ঠিক করবেন তিনিই প্রার্থী হবেন বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে এবার মুর্শিদাবাদে এসে ফের অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে সুর চওড়া করলেন তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!