এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বহিরাগত ইস্যুতে তৃণমূলকে মোক্ষম জবাব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর

বহিরাগত ইস্যুতে তৃণমূলকে মোক্ষম জবাব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে পদ্মফুল ফোটাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর যথেষ্ট আস্থাবান বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার আসছেন রাজ্যে। তবে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যতই আসছেন রাজ্যে, ততোই বিজেপিকে বহিরাগতর দল, অবাঙালির দল বলে কটাক্ষ করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আর এই পরিস্থিতিতে বহিরাগত ইস্যুতে গণমাধ্যমে তৃণমূলকে মোক্ষম জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

গতকাল প্রথম দফার নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। এই সাক্ষাৎকারে বক্তব্য রেখেছেন তিনি বহিরাগত ইস্যুতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যে সময়ে অখিল ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ছিলেন, তখন কি তিনি পুরো দেশে বহিরাগত হয়েছিলেন তিনি? তিনি প্রশ্ন করেছেন, বাংলার এক ব্যক্তি কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন, বলে গুজরাতে কি তিনি বহিরাগত ছিলেন?

এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানালেন যে, প্রণব মুখোপাধ্যায় দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন, তাহলে মধ্যপ্রদেশে কি তিনি বহিরাগত ছিলেন? তিনি জানালেন, এই বহিরাগত ভাবা হল, নিচু মনের পরিচয়। এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়। তিনি কটাক্ষ করেছেন, হয়তো কোনো পরামর্শদাতার বুদ্ধিতেই এমন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গ কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ বিজেপির কাছে? এর জবাবে তিনি জানালেন যে, একসময় তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন, তাঁর দায়িত্ব ছিল গোটা দেশে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা করা। তিনি জানালেন, বাংলায় বিজেপি বাংলার মানুষদের নিয়ে তৈরি করা হবে। রাজ্যের সমস্ত স্থানে তাঁদের রাজনৈতিক দলকে পৌঁছে দেওয়া হলো, তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার।

অমিত শাহ জানালেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাঙালি, বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত বাঙালি, অশোক লাহিড়িও বাঙালি। যারা সকলেই হলেন বাংলার ভূমিপুত্র। তিনি জানালেন বিজেপি যদি পশ্চিমবঙ্গতে সরকার গঠন করে, তবে স্বাভাবিকভাবেই বাংলার নেতারাই মন্ত্রী হবেন, এতে আপত্তিকর কিছু থাকতে পারে না। এরপর তৃণমূলের উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন, গণতন্ত্রতে এমন কোন নিয়ম আছে যে, যে দল ক্ষমতায় রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আর কেউ প্রার্থী দিতে পারবে না?

তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইতে বিজেপির কেন মুখ নেই? এর উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানালেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার গড়েছিল, সেখানে তখন কোন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলনা। ঝাড়খন্ডেও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলনা। বেশ কিছু রাজ্যে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আগে ঠিক না করেও, বিজেপি সরকার গঠন করেছে। তিনি জানালেন, পশ্চিমবঙ্গতেও দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী কেউ চলে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। এ বিষয়ে ধৈর্য ধরার নিদান দিয়েছেন তিনি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!