এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ‘বহিরাগত’ ওমপ্রকাশ প্রার্থী হতেই দলত্যাগের হিড়িক, উত্তরবঙ্গে ভাঙ্গন অব্যাহত!

‘বহিরাগত’ ওমপ্রকাশ প্রার্থী হতেই দলত্যাগের হিড়িক, উত্তরবঙ্গে ভাঙ্গন অব্যাহত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরেই দলের ভাঙ্গন এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গ, বিভিন্ন জায়গায় অনেকে দলত্যাগ করতে শুরু করেছেন। অনেকে যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে, আবার অনেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শিলিগুড়ি তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হলেও, এবার সেখানে তৃণমূলের ভাঙ্গন যেন রীতিমত নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এবার শিলিগুড়ি বিধানসভা নির্বাচনে ওমপ্রকাশ মিশ্র প্রার্থী হওয়ার পরেই তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করলেন দীপক শীল এবং জ্যোৎস্না আগরওয়াল। যার ফলে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই দলের সাথে রয়েছেন এই দীপক শীল এবং জ্যোৎস্না আগরওয়াল। জ্যোৎস্নাদেবী পেশায় আইনজীবী এবং শিলিগুড়ি পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন।

অন্যদিকে দীপকবাবু তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। কিন্তু এবার তারা দুজনেই ওমপ্রকাশ মিশ্র প্রার্থী হওয়ার পর কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন। রবিবার এই ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করে এই দুই নেতা নেত্রী বলেন, “বহিরাগত প্রার্থী হলেন ওমপ্রকাশ‌। তাকে জেতানো কঠিন। স্থানীয় প্রার্থীকে সেবার জিতিয়েছিলাম। এর আগেও বাইচুং ভুটিয়া বাইরে প্রার্থী ছিলেন। জেতানো যায়নি। এভাবেই আমাদের কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলা হচ্ছে। প্রার্থী না জিতলে দল জবাবদিহি চাইবে। তাই আমরা এর দায় নিতে চাই না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -
tmc

স্বাভাবিক ভাবেই কিছুদিন আগেই নান্টু পাল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এবার দুই হেভিওয়েট নেতা নেত্রী বহিরাগত প্রার্থী হওয়ার কারণে যেভাবে দলত্যাগ করলেন, তাতে তৃণমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস কিভাবে জয়লাভ করবে! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, “ওনাদের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। কথা বলব।” তবে আদৌ কথা বললে মান ভাঙবে কিনা, তা যথেষ্ট প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!