এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “বহিরাগত” তকমা তোলা তৃনমূলের ঘাড়েই বর্হিসংস্কৃতি পালন! কটাক্ষ বিজেপির!

“বহিরাগত” তকমা তোলা তৃনমূলের ঘাড়েই বর্হিসংস্কৃতি পালন! কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় প্রচার করতে আসা সর্বভারতীয় বিজেপি নেতাদের বারবার “বহিরাগত” বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ দেশের একাধিক মন্ত্রীদেরও বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে আসা নিয়ে সেই “বহিরাগত” শব্দ প্রয়োগ করতে দেখা দিয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতবর্ষের অন্তর্গত রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ। অথচ সেই পশ্চিমবঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী আসলে কেন তাকে বহিরাগত বলা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে।

আর এই পরিস্থিতিতে “বহিরাগত” ইস্যুকে নির্বাচনের সময় কাজে লাগিয়ে বিজেপিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কটাক্ষ করা হলেও, এবার সেই বাইরের রাজ্যের সংস্কৃতি আমদানি করতে দেখা গেল ঘাসফুল শিবিরকে। যেখানে তৃণমূল বিধায়ককে সংবর্ধনা দিতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের কায়দায় মুকুট পড়াতে দেখা গেল তৃণমূলের নেতা কর্মীদের। যা নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক যেমন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই ভোটের সময় “বহিরাগত” শব্দ প্রয়োগ করা তৃণমূলের এই আচরণ নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, শনিবার পাণ্ডবেশ্বরের কুমারডিহি পঞ্চায়েতের জোয়ালভাঙ্গা গ্রামে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই সংবর্ধিত করা হয় সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে জয় যুক্ত তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে। যেখানে তৃণমূল কর্মীদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক দেওয়ার পাশাপাশি এক কেজি ওজনের একটি রুপোর মুকুট পড়িয়ে দিতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ককে। আর তারপরেই নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এত বড় রুপোর মুকুট দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই এই গোটা বিষয়টি কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক তরজা চরম আকার ধারণ করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জিতেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃনমূলের টাকার অভাব নেই। বেআইনিভাবে আয়েরও সীমা নেই। বালি ও কয়লার টাকাতেই বিধায়ককে মুকুট উপহার দেওয়া হয়েছে।” যদিও এই ব্যাপারে পাল্টা যুক্তি দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি কিরিটি মুখোপাধ্যায় বলেন, “নরেন্দ্রনাথবাবু একদিকে যেমন বিধায়ক, তেমনই এই এলাকার বাসিন্দাদের অভিভাবক। সংবর্ধনায় নতুনত্ব কিছু করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সকলে মিলে চাঁদা দিয়ে এই উপহার দেওয়া হয়েছে।” একইভাবে বিজেপির এই কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীও।

এদিন তিনি বলেন, “এতে বিতর্কের কিছু নেই। গ্রামের লোকজন আর দলের কর্মীরা নিজেরা চাঁদা তুলে ভালোবেসে উপহার দিয়েছেন। তাই আমি সেটা গ্রহণ করেছি। উপহার পাওয়া রুপোর মুকুটটি স্থানীয় কালীমন্দিরে অর্পণ করা হবে।” আর এরপরেই নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। অনেকে কটাক্ষ করে বলছেন, বারবার “বহিরাগত” শব্দ তুলে ধরে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এইভাবে মুকুট পড়িয়ে সম্বর্ধনা দেওয়ার নজির একমাত্র উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের মত রাজ্যগুলোতেই রয়েছে। সেদিক থেকে সেই রাজ্যের সংস্কৃতি আমদানি করে তৃণমূল কি নিজেরাই বিতর্কের মুখে পড়ে গেল না? সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!