এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মন্ত্রীর সামনেই হাতাহাতি বিজেপি নেতাদের, বীরভূমের গোষ্ঠকোন্দল ক্রমশ বাড়ছে

মন্ত্রীর সামনেই হাতাহাতি বিজেপি নেতাদের, বীরভূমের গোষ্ঠকোন্দল ক্রমশ বাড়ছে


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  শাসকদল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসে পড়লেও, গোষ্ঠী কোন্দলের সমস্যা থেকে বাদ যাচ্ছে না রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপির সদস্য সংখ্যা যথেষ্ট ভাবে যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, সেইসঙ্গে বেশ কিছু স্থানে দেখা দিয়েছে দলের গোষ্ঠীকোন্দল। অনেক ক্ষেত্রে নবীন-প্রবীনের দ্বন্দ্ব থেকে দেখা দিচ্ছে দলে গোষ্ঠী কোন্দল। গতকাল বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলায় শীর্ষ বিজেপি নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের সামনেই বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এলো।

গতকাল বীরভূম জেলার রামপুরহাটে বিজেপি নেতার নরোত্তম মিশ্রের সামনেই বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলের অনুগামীদের সঙ্গে সম্প্রতি দল থেকে বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা কালোসোনা মন্ডলের অনুগামীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। বচসা ক্রমে বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত শুরু হয় মারামারি। এরপর অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের চেষ্টায় তাদেরকে শান্ত করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে দল থেকে বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা কালোসোনা মন্ডলের অনুগামী বলে পরিচিত তাপস রায় জানিয়েছেন যে, দলে তাঁরা কাজের সুযোগ চান। তিনি জানিয়েছেন যে, যদি তাঁদের দলে কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়, তবে আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে রামপুরহাট থেকে ২০ হাজার ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে জয়ী করবেন। কিন্তু দলে যদি তাঁদেরকে বসিয়ে দেয়া হয়, তবে রামপুরহাটে একটা ভোটেও জিততে পারবেন না বিজেপি প্রার্থীরা।

আপনার মতামত জানান -

তাপস রায় অভিযোগ করেছেন যে, কালো সোনা মন্ডলের অনুগামী প্রায় ৫০০০ বিজেপি কর্মীকে দলে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন কালোসোনা মন্ডলের অনুগামী বলেই দলে তাদের বসিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকেই তাঁরা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত আছেন। সেখান থেকে তাঁরা বিজেপিতে এসেছিলেন। কিন্তু বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল তাদের দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ দিচ্ছেন না, বসিয়ে দিয়েছেন তাঁদের । এই অভিযোগ নিয়েই ঊর্ধ্বতন বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে গতকাল দেখা করতে এসেছিলেন তাঁরা।

শেষ পর্যন্ত অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের চেষ্টায় শান্ত করা হলো ক্ষুব্দদের। গতকাল জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলের অনুগামীরা জানালেন যে, সংসার থাকলে রাগ-অভিমান হবেই। বাবা- ছেলের মধ্যে যে রাগ অভিমান হয়, এটা স্বাভাবিক ঘটনা। আলোচনার মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিষয়টি মিটিয়ে নেবার চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে, গতকাল হেভিওয়েট বিজেপি নেতার সামনেই ঘটে গেল বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!