এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “এটা আমার কাছে হারের শামিল” দাবি শোভনের বিশেষ বান্ধবী বৈশাখীর! খেলেন বড়সড় ধাক্কা!

“এটা আমার কাছে হারের শামিল” দাবি শোভনের বিশেষ বান্ধবী বৈশাখীর! খেলেন বড়সড় ধাক্কা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –রাজ্য রাজনীতিতে তাকে নিয়ে চর্চা শেষ ছিল না। এবার চরম সমস্যার মুখে পড়লেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, মধ্য কলকাতার মিল্লি আল আমিন কলেজ থেকে সমস্ত সরকারি কর্মীকে প্রত্যাহার করে নিতে বলে সম্প্রতি উচ্চ শিক্ষা দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মিলি এডুকেশনাল অর্গানাইজেশন। স্বাভাবিক ভাবেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যে কলেজের অধ্যক্ষ পদে রয়েছেন, সেই কলেজকে নিয়ে এই ধরনের চিঠি রীতিমত চিন্তা বাড়াচ্ছে বৈশাখীদেবীর।

সূত্রের খবর, গত 25 জুন নিয়ন্ত্রক সংস্থা মিলি এডুকেশনাল অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, “একুশে জুন সংস্থার সাধারণ বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে অনুরোধ জানাচ্ছি, মিল্লি আল আমিন কলেজ থেকে সরকার নিযুক্ত সমস্ত অধ্যাপক এবং শিক্ষা কর্মীদের প্রত্যাহার করা হোক। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনোরকম অনুমোদন না নিয়ে এখন থেকে আমাদের সংস্থাই কলেজ চালাবে।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই কলেজে বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে কোনো জটিলতা তৈরি হয়নি। কখনও তাকে বাদ দিয়ে পরিচালন সমিতি করা এবং পরবর্তীতে সেই পরিচালন সমিতিকে অবৈধ বলে আবার বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেখানে পুনর্বহাল করেছে শিক্ষা দপ্তর। কিন্তু এরপরেও ওই কমিটির অনেকেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে মানতে নারাজ ছিলেন। কিন্তু এতসব সত্ত্বেও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মত করে কলেজে যাচ্ছিলেন। এদিন শিক্ষা দপ্তরের কাছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে এই চিঠি যাওয়ায় কি বলছেন বৈশাখী দেবী?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “2018 সাল থেকে অচলাবস্থা তৈরি করা হচ্ছিল। আমিরুদ্দিন ববি যেদিন থেকেই কলেজের পরিচালন সমিতির মাথায় বসেছেন, সেদিন থেকে এখনও পর্যন্ত তিনি একটাও বৈঠক ডাকেননি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েদের জন্য উচ্চশিক্ষা সুনিশ্চিত করার এই প্রতিষ্ঠানকে উনি একটা তিনতলা বাড়ি হিসেবে দেখেছেন। কখনও ভেবেছেন এখানে কমিউনিটি সেন্টার বানাবেন, কখনো ভেবেছেন সেরিমন হল বানাবেন। কখনও বলেছেন এখানে তিনি স্কুল খুলতে চান। এমন নানা উদ্দেশ্য নিয়ে কঠিন পথ তৈরি করেছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী নিজে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছেন। শুধুমাত্র এই কলেজ নিয়ে আট থেকে দশবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু আমিরুদ্দিন ববিরা হতে দিতে চাননি।”

কিন্তু এখন যেভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিজেরাই কলেজ চালাবে বলে জানা যাচ্ছে, তাতে এই ব্যাপারে তার মত কি? এদিন এই প্রসঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “2002 সাল থেকেই কলেজে আছি। তখন থেকেই জনাকয়েক স্বার্থান্বেষীর বিরুদ্ধে লড়ছি। বুঝেছি, সরকার বদলায়। এদের মানসিকতা বদলায় না। যখন পেরে ওঠে না, তখনই আমার গায়ে সংখ্যালঘু বিরোধিতার তকমা লাগিয়ে দিয়ে অন্য খেলা খেলতে শুরু করে। তাই আমি আর এই নিয়ে লড়তে যাব না।”

পরিশেষে তিনি কার্যত আফসোস করেই বলেন, “এটা আমার কাছে লড়াইয়ে হাড়ের শামিল। আমি কলেজটা বাঁচাতে পারলাম না।” অর্থাৎ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যে এই মতের সঙ্গে সহমত নন, তা তার এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছ থেকে সমস্ত ক্ষমতা নিয়ে নিজেরা কলেজ চালাবে বলে জানালেও, তা কতটা সম্ভব হয়, কিভাবে সমস্ত কিছু খরচ হবে, কিভাবে গোটা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে, এখন সেই প্রশ্নের উত্তর করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে শিক্ষা দপ্তরের কাছে চিঠি যাওয়ার পর এখন শিক্ষা দপ্তর কি সিদ্ধান্ত নেয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!