বান্ধবী বৈশাখীর জন্য আবারো খবরের শিরোনামে শোভন চট্টোপাধ্যায়! জেনে নিন বিস্তারিত কলকাতা রাজ্য April 5, 2020 অনেকদিন হল তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে লাগাতার আক্রমণের জন্য বান্ধবীপ্রীতি দেখিয়ে মন্ত্রীপদ, মেয়র পদ ছেড়ে ঘাস পদ্মফুল শিবিরে পা বাড়িয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তার সঙ্গী ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দিয়েও, সেভাবে ফোরফ্রন্টে আসতে পারেননি শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরবর্তীকালে মাঝেমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়া, এমনকি ভাইফোঁটার দিন শোভন চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়া এই নিয়ে নানা আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সম্প্রতি করোনা ভয়াবহতার আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার পর রীতিমতো সেখান থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হতে দেখা যায় সেই বৈশাখীদেবীকে। যার পরেই অনেকে কাছে নিশ্চিত হয়ে যায় যে, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, বান্ধবী অপমানিত হওয়ায় আর তৃণমূলে যোগ দেবেন না শোভন চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে রাজ্য তথা দেশ সব জায়গা থেকেই রাজনীতি উধাও হয়ে গিয়েছে। কেননা এখন সকলেই করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত। তবে এই পরিস্থিতিতেও খবরের শিরোনামে চলে আসলেন সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে এমনি এমনি খবরের শিরোনামে আসেননি তিনি। জানা গেছে, লকডাউনের মধ্যেই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের ওএসডি পদে এক শিক্ষিকাকে বসানো হয়েছে। যা নিয়ে ব্যাপক সরব হয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে এই ব্যাপারে সরব হওয়ার সাথে সাথেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে এনে পরোক্ষে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। মূলত, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন যার বিরুদ্ধে সব জায়গায় অভিযোগ করেছেন, সেই শিক্ষিকাকেই এই পদে বসানো হয়েছে। আর তাতেই বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শোভন চট্টোপাধ্যায়কে রাজনৈতিকভাবে একঘরে করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাকে একের পর এক অপমান করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “আমি সবই মাথা পেতে নিচ্ছি। আসলে এসবই হচ্ছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে একঘরে করার জন্য।” আর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বলার পরেই করোনা মহামারীর মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি জমজমাট হয়ে উঠল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -