এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘বাজার থেকে কেনা জমি, ৫০ বছর পর হঠাৎ কেন বিতর্ক?’ বাড়ি বিতর্কে সরব হলেন অর্মত্য সেন

‘বাজার থেকে কেনা জমি, ৫০ বছর পর হঠাৎ কেন বিতর্ক?’ বাড়ি বিতর্কে সরব হলেন অর্মত্য সেন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাড়ি বিতর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সরব হলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। সম্প্রতি অমর্ত্য সেনের বাড়ির কিছু অংশ বিশ্বভারতীর অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে কিছুদিন ধরে বিতর্ক উঠেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন শান্তিনিকেতনে তাঁর এই বাড়ি ৮০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল। তাঁর বাবা জমি কিনে এই বাড়ি তৈরি করেছিলেন। এখন সেই জমির একটি অংশকে বিশ্বভারতীর অংশ বলে দাবি করছে একটি মহল। তাঁর প্রশ্ন এতকাল পরে কেন তাঁর বাড়ি ‘প্রতীচী’ নিয়ে এমন বিতর্ক উঠেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, রাজনীতিগত কারণেই তাঁর সঙ্গে এমনটা করা হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন অভিযোগ করেছেন যে, তিনি বিশ্বভারতীর একটি অংশ দখল করে বাড়ি তৈরি করেছেন বলে বলছেন কেউ কেউ। কিন্তু বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ তাঁর কাছে আসেনি। এমনকি এ বিষয়ে তাঁকে কোনো চিঠিও দেন নি উপাচার্য। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর বাড়ি, অথচ তাঁকে কিছু না জানিয়েই, অন্যত্র অভিযোগ করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ” ৫০ বছর পরে হঠাৎ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের চেঁচামেচি। এর মধ্যে একটা ছোটলোকামি আছে। ”

অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন জানালেন জমি বিতর্কের বিষয়তে উপাচার্য নিজে কিছুই বলেননি, তিনি শুধু এইটুকু জানিয়েছেন যে, তাঁর অফিসে অনেক বড় বড় লোক আছে। তাঁর অফিসের কেউ কেউ এ ধরনের বিতর্কিত কথা বলেছেন বলে অমর্ত্য সেন জানালেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনীতির বিষয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মদত আছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, এই ছোটলোকামি কোনভাবেই লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে গতকাল শুক্রবার অমর্ত্য সেনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি লিখেছেন যে, কিছু অনুপ্রবেশকারী নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছে। এই ঘটনায় তিনি ব্যথিত। তিনি জানিয়েছেন যে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের গোড়ামির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অর্থনীতিবিদের পাশে আছেন তিনি। অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে অর্থনীতিবিদের এই লড়াইয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর নিজের বোন ও বন্ধু হিসাবে মনে করবেন।

মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠি প্রসঙ্গে অর্থনীতিবীদ অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন যে, এই আজগুবি ভাবনা কোন রাজনৈতিক কারণকেই উস্কে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পড়ে তিনি মনে করছেন যে, এর পেছনে কোন রাজনৈতিক কারণ আছে। অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জমি বিতর্কে পাশে দাঁড়িয়েছেন অর্থনীতিবীদ অমর্ত্য সেনের। এ বিষয়ে তিনি তীব্রভাবে সরব হয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!