প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২ রা জুলাই রাজ্যপালের ভাষণের মধ্য দিয়ে বিধানসভায় শুরু হতে চলেছে বাজেট অধিবেশনের। বাজেট অধিবেশনের ভাষণ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রবল সঙ্ঘাত বেধেছে রাজ্য সরকারের। রাজ্যপাল অভিযোগ করেছেন, রাজ্য মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে যে বয়ান তৈরি করে দেয়া হয়েছে, সেই বয়ান সত্য নয়। এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি চিঠি দিয়েছেন। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যপালের ভাষণের এই খসড়া তৈরি করা হয়েছিল। এরপর এই বয়ান রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে গতকাল। এই বয়ান নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি অভিযোগ করেছেন, বয়ানে যা লেখা রয়েছে, তা সত্য নয়। তিনি জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে আসার পর বিধানসভার ভাষণের বয়ান পেয়েছেন তিনি। যে বয়ান পড়ে দেখেছেন যে, এখানে যা লেখা আছে, তা বাস্তব নয়। এ বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি চিঠি দিয়েছেন। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, চিঠি পাবার কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ফোন করেছিলেন। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য মন্ত্রিসভা এর অনুমোদন করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সরকার বা মন্ত্রিসভা যে বক্তব্য তৈরি করে দেবে, তা হুবহু রাজ্যপালকে মেনে নিতে হবে, একথা সংবিধানের কোথাও উল্লেখ করা নেই। সাংবিধানিক দায়িত্ব কর্তব্যের যদি বিচ্যুতি ঘটে, তবে রাজ্যপাল তা চিহ্নিত করে দিতে পারেন। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো আলোচনা। ভিন্নমত থাকলেই সংঘাত নয়। রাজ্যপাল সংঘাত চান না। তিনি সরকারের পক্ষে রয়েছেন। তবে এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বয়ানের বদল করা যাবেনা। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা বয়ানের বদল করার ক্ষমতা তাঁর নেই।

এভাবে, বাজেট অধিবেশনের ভাষণের বয়ান নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত তীব্র আকারে যাবার সম্ভাবনা আছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাজ্যপাল সরকারের তৈরি করে দেওয়া খসড়া পড়তে বাধ্য ঠিকই। কিন্তু পড়ার সময় নিজের কোনো বক্তব্য বা পর্যবেক্ষণ এর সঙ্গে তিনি জুড়ে দিতে পারেন। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বয়ান হুবহু রাজ্যপালকে পাঠ করতে হবে, এমন কোন বিষয় নেই। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে? তা এখনই তিনি জানাতে চান না। আবার, গতবছর বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের বক্তব্য সরাসরি সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হয়নি বলে, অভিযোগ করেছিলেন তিনি।