এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি কর্মীর বাকশক্তিহীন স্ত্রীকে গণধর্ষনের অভিযোগে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

বিজেপি কর্মীর বাকশক্তিহীন স্ত্রীকে গণধর্ষনের অভিযোগে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বাগনানে বিজেপি কর্মী হারাধন পালের স্ত্রীকে গণধর্ষণের বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হবার কারনে কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। তাঁর স্বামী একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী, বিশেষ কাজে তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে একা বাড়িতে পেয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছে একাধিক দুষ্কৃতী। ঘটনায় বিজেপি সম্পূর্ণভাবে অভিযুক্ত করেছে তৃণমূলকে। তবে, তৃণমূলের দাবি, এলাকায় বিজেপি হেরে যাবার কারণে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমন কুৎসা রটাচ্ছে।

এই ঘটনার প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকাও স্বচ্ছ নয়। অভিযুক্ত নেতাদের আড়াল করতে রিপোর্ট ও আসামিকে বদল করে দিয়েছে পুলিশ। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, যার অর্ধাঙ্গিনী হলেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর কাছ থেকে কিভাবে প্রকৃত বিচার পাওয়া যাবে? যদিও গতকাল অভিযোগ পাওয়ার পর জয়নাল মল্লিক ও শেখ সাহিদকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, প্রকৃত অভিযুক্তদের আড়াল করতে অন্য ব্যক্তিকে অপরাধী সাজানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। বাকশক্তিহীন মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কুতুবদ্দিন মল্লিক, যুব সভাপতি দেবাশিস রানা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে। বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে, নারী অত্যাচারের এগিয়ে রয়েছে বাংলা। হাওড়ার বাগনান এলাকায় বিজেপি কর্মী হারাধন পালের স্ত্রীকে রাতের অন্ধকারে খুঁটিতে বেঁধে গণধর্ষণ করা হয়েছে। বাকশক্তি হারিয়েছেন তিনি। এখন তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এই অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তিনি।

তবে, এ প্রসঙ্গে রাজ্য সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন যে, বিজেপি এই এলাকাতে হেরে যাওয়ার কারণে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এরকম কুৎসা রটাচ্ছে। তবে গণধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের কোনোভাবেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। অন্যদিকে, এই ঘটনা সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল জানিয়েছেন যে, তৃণমূলের লোকজন যে মহিলাকে ধর্ষণ করেছে, তিনি হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁর স্বামী যিনি বিজেপি কর্মী, সেদিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। এক বিশেষ কাজে কলকাতায় এসেছিলেন। সে সময় তাঁর ছোট বাচ্চাকে নিয়ে একা বাড়িতে ছিলেন এই মহিলা।

তাঁর নাম ধরে ডেকেছিল দুষ্কৃতীরা। তিনি ভেবেছিলেন তাঁর স্বামী এসেছেন। এরপর দরজা খুলতেই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ও পাশবিক নির্যাতন চালায় দুষ্কৃতীরা। পরদিন সকালে থানায় গিয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল। পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে পুলিশ অভিযোগ নিয়েছে। কিন্তু তাঁর স্বামীকে ডেকে উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা অভিযোগ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই হলো পুলিশের ভূমিকা। আর এটাই হল পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র। আর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, ত্রিপুরাতে গণতন্ত্র নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!