এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > বাকি বিপুল পরিমান GST! তিন পুরসভার ব্যাঙ্ক লেনদেন বন্ধ করে দিল প্রশাসন! তীব্র শোরগোল বাংলায়

বাকি বিপুল পরিমান GST! তিন পুরসভার ব্যাঙ্ক লেনদেন বন্ধ করে দিল প্রশাসন! তীব্র শোরগোল বাংলায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কয়েক বছর আগে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান, কাটোয়া, কালনা পুরসভায় ভূতল দিয়ে ইন্টারনেট সংযোগের জন্য একটি বহুজাতিক সংস্থা তাদের কেবল বিছিয়েছিল। এই তিন পৌরসভাকে এ বিষয়ে তারা ইনস্টলেশন চার্জও প্রদান করেছিল। এরপর জিএসটি দফতরের পক্ষ থেকে বর্ধমান পৌরসভাকে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা, কাটোয়া পুরসভাকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা সার্ভিস ট্যাক্স ধার্য করা হয়। তিন পুরসভা সার্ভিস ট্যাক্স জমা না দেওয়ায় এই পুরসভাগুলির ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তোলার ওপর সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করল সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলি। বর্ধমানের বড়নীলপুরের জিএসটি দফতর থেকে এই ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর এই ব্যাংকগুলি এই নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে বর্ধমান পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গত ২০১৬ সালেই তারা এই সার্ভিস ট্যাক্স মিটিয়ে দিয়েছিল। এরপর সার্ভিস ট্যাক্স উঠে গিয়ে জিএসটির আওতাভুক্ত হলে জিএসটি বাবদ কেন্দ্রীয় জিএসটি দফতর তাদের কাছে ১৮ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৩২ টাকা ধার্য করে চিঠি দেয়। তবে পুরসভার দাবি গত ২০১৮ সালের ১৮ ই জানুয়ারী এই সমস্ত টাকা তারা পরিশোধ করেছে। আবার এই বহুজাতিক সংস্থাও জিএসটির অর্থ পুরসভাকে দেবে বলে জানিয়েছে, এমনটাই বর্ধমান পুরসভার দাবি।

আবার গত ১৮ ই সেপ্টেম্বর জিএসটি কর্তৃপক্ষের একটি চিঠি অনুযায়ী বর্ধমান পুরসভার কাছে ৪৯,৬৬,৪৬৭ টাকা বকেয়া জানানো হয়েছে, যার মধ্যে বকেয়ার সুদ হিসেবে এসেছে ২৩,৪৩,৯১৩ টাকা। তবে এ প্রসঙ্গে বর্ধমান পুরসভার এগ্‌জ়িকিউটিভ অফিসার অমিত গুহর বক্তব্য, “ অন্যায় ভাবে টাকা চাওয়া হয়েছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে দু’-একটা শুনানির পরে, বিষয়টি মিটে যাবে বলে মনে হচ্ছে।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কাটোয়া পুরসভা পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গত ২০১৭ সালেই তারা সার্ভিস ট্যাক্স প্রদান করে দিয়েছে। এরপর ওই বহুজাতিক সংস্থার কাছে অর্থের দাবি করা হলে তারা একটি বিশেষ নির্দেশে দেখিয়েছে যে, কেন্দ্র সরকার তাদের সমস্ত কর মুকুব করেছে। তবে জিএসটি বিভাগকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা টাকা ফেরত দেবে না বলে জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কাটোয়া পুর প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানালেন,
” প্রয়োজন ছাড়াই সার্ভিস ট্যাক্স জমা করা হয়েছিল। এখন আবার জিএসটি বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা চাওয়া হচ্ছে। হঠাৎ করে টাকা তোলা যাবে না বলে ব্যাঙ্কও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আসলে বাংলার পুরসভাগুলিকে অচল করার মনোভাব নিয়ে এ সব করছে কেন্দ্র সরকার।’’

কালনার পুরপ্রশাসক দেবপ্রসাদ বাগ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ” জিএসটি-সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদেরও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিষেধাজ্ঞা এসেছে শুনেছি।’’ আবার এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য কমিটির জনৈক নেতাসন্দীপ নন্দী জানিয়েছেন, ” অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে তৃণমূল সবেই বিজেপির ভূত দেখছে বলে অহেতুক দোষারোপ করছে।’’

এই তিন পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পূর্ব বর্ধমানের লিড ব্যাঙ্কের ম্যানেজার রঞ্জন গুহ জানিয়েছেন, ” জিএসটি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য আইন মোতাবেক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বলেছে সংশ্লিষ্ট দফতর। সে মতো ব্যাঙ্ক তা পালন করেছে।’’ অন্যদিকে এ বিষয়ে জিএসটি দফতরের বর্ধমান ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অভিজিৎ মণ্ডল জানিয়েছেন, “ আমি অফিসে নেই। সোমবার অফিসে গিয়ে নথি দেখে বিস্তারিত বলতে পারব। ’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!