পাকিস্তান সরকার স্বীকার না করলেও বালাকোটে জইশের ক্যাম্প বিমানহানার প্রমান মিলছে উপগ্রহ চিত্র থেকে আন্তর্জাতিক জাতীয় March 4, 2019 গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার প্রত্যাঘাতস্বরূপ ভারতীয় বায়ুসেনারা পাকিস্তানের সন্দেহভাজন জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে আসে। এ খবর চাউর হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন দেশবাসী। তবে ভারতীয় বায়ুসেনার এই বীরত্বের কথা এখনো স্বীকার করছে না পাক সরকার। তাঁদের বক্তব্য,ভারতীয় বায়ুসেনারা বালাকোটে জইশের ক্যাম্পে কোনো হামলা চালায়নি সেদিন। তবে পাকিস্তানের এই দাবীকে নশ্যাৎ করতে সামনে এল বালাকোটে জইশের ক্যাম্পের উপগ্রহ চিত্র। জি নিউজের হাতে আসা উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে খাইবার পাখতুনখাওয়ার ওই ক্যাম্পে বিমান হানায় পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বালাকোটে জইশের ঘাঁটি। বিমানহানার আগের আর পরের ছবিতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে প্রকৃত ঘটনা। ২৩ ফেব্রুয়ারির ছবিটি বিমান হানার আগের। আর ডানদিনের ছবিটি ২৬ ফেব্রুয়ারির পরের। বিমান হানার পরের ছবিটি লক্ষ্য করতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে,সোজা দাঁড়িয়ে থাকা বিল্ডিং টির ছাদে একটি গভীর গর্ত হয়েছে। এছাড়া চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হামলার নিদর্শন এবং ধ্বংসের চিহ্ন। ক্ষয়ক্ষতির নমুনা দেখে বুঝতে একটুও সমস্যা হবার কথা নয় যে ভারতীয় এয়ার স্ট্রাইকে কতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জঙ্গীঘাঁটি! তাছাড়া বিমানহানা এতোটাই প্রবল ছিল যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যদি কেউ ভাগ্যক্রমে বেঁচেও থাকেন তাহলেও তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা একেবারে নেই ধরে নেওয়াই যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর,বালাকোটে জইশের যে কেন্দ্রটি ভারতীয় বায়ুসেনারা ধ্বংস করে দিয়ে এসেছে সেটা জইশের সবথেকে বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। লোকচক্ষুর আড়ালে জঙ্গলে ঘেরা এলাকায় ট্রেনিং চলে আত্মঘাতী জঙ্গিদের। মাসুদ আজহার সহ জঙ্গী সংগঠনের প্রধানদের এখানে প্রায়ই আনাগোনা হয়। তারা এখানে নতুনদের সন্ত্রাসবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন বলেই জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য,গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্ব যখন একে অপরকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা দিতে ব্যস্ত সেসময় পুলওয়ামায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক জঙ্গী হামলা। প্রাণ গেল ৪০ জনেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ানদের। তারপর থেকেই বদলার আগুনে জ্বলছিল গোটা দেশ। শেষ পর্যন্ত গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৩ টে ১২ নাগাদ খাইবার পাখতুনখাওয়ার বালাকোটে জইশের ক্যাম্পে বিমানহানা চালিয়ে প্রত্যাঘাত নেয় ভারত সরকার। তবে প্রত্যাঘাত নেওয়ার খবর জনসমক্ষে আনলেও কতজন জঙ্গী ওই হামলায় মারা গিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট করেনি ভারত সরকার। তবে এতোদিন পর হামলার একটি ছবি সামনে আসায় ভারত সরকার যে প্রত্যাঘাতের সত্যি খবরই সামনে এনেছিল এটাই প্রমাণ হয়ে গেল। এর জেরে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করা যেমন সহজ হল তেমনি পাকিস্তানের দাবীকেও মিথ্যে প্রমাণ করা গেল। এর জেরে বিজেপি সরকার লোকসভা ভোট প্রচারে বাড়তি অক্সিজেন পাবে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -