প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ক্ষমতায় আসার পরই বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে বালি মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্ত রোধ করতে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনোভাবেই যাতে এই রকম অনিয়ম না হয়, তার জন্য প্রশাসনকে বার্তা দেন তিনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দেওয়ার পরেও অজয় এবং দামোদর নদ থেকে প্রচুর পরিমাণে বালি লুট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, নৌকার মাধ্যমে আবার কখনও বা জেসিপি দিয়ে বেআইনিভাবে বালি পাচার করা হচ্ছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানোর আগেই সেই বালি লুট হয়ে যায়। কিন্তু এবার সেই বালি মাফিয়াদের ধরতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জেলার ভূমি ভূমি রাজস্ব দপ্তর পুলিশ এবং পরিবহন দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। যে টিমের প্রধান কাজ হল খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বালি ঘাটে উপস্থিত হয়ে প্রকৃত অপরাধীদের হাতেনাতে ধরা।

অর্থাৎ গোপনে এই টিম খবর নিয়ে কাউকে কোনো কিছু না জানিয়েই যে এই বালি লুটকে আটকাতে উদ্যোগী হবে এবং তার কারণেই যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হল, সেই বিষয়টি পরিষ্কার সকলের কাছে‌।এদিন এই প্রসঙ্গে জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক খুরশীদ আলী কাদেরী বলেন, “আমরা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে খবর দিয়ে অভিযান চালাই। অনেক ক্ষেত্রে অভিযানের আগে চম্পট দিচ্ছে মাফিয়ারা। স্থানীয় স্তর থেকে অভিযানের খবর ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তাই আমরা এবার জেলা থেকেই অভিযান করব পরে স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসনকে খবর দেওয়া হবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা অবৈধ পদ্ধতিতে বালি লুটের অভিযোগ আসছে। খুব দ্রুত এই বিশেষ বাহিনী অভিযান শুরু করবে।”

বিশ্লেষকেরা বলছেন, যেভাবে বালি মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্ত বাঁকুড়া জেলায় বেড়েই চলেছে, তাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপরাধীদের ধরার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হলেও, তা সম্ভব হচ্ছে না।কেননা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই অপরাধীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। তাই এবার গোপনে টিম তৈরি করে যাতে হাতেনাতে মূল অভিযুক্তদের ধরা যায়, তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হল। কিন্তু এই টিম বালি মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্ত আটকাতে কতটা সফলতা পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।