এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বালুরঘাট মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষিকার তান্ডবে কার্যত অবরুদ্ধ কলেজ মোর, শিক্ষিকার আচরণে উঠছে প্রশ্ন

বালুরঘাট মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষিকার তান্ডবে কার্যত অবরুদ্ধ কলেজ মোর, শিক্ষিকার আচরণে উঠছে প্রশ্ন


 

এ যেন অদ্ভুত ঘটনা ঘটল বালুরঘাট মহাবিদ্যালয়ের সামনে। এর আগে আমরা শিক্ষাঙ্গনকে অশান্ত হতে দেখেছি। অশান্ত হতে দেখেছি নানা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণকেও। কিন্তু কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ রাস্তায় নেমে পথচলতি মানুষকে আটকে সকলের ঘুম উড়িয়ে দেবেন, এমন ঘটনার নিদর্শন পাওয়া যায়নি।

তবে এবার এই ঘটনাই ঘটল উত্তরবঙ্গের প্রেসিডেন্সি হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট মহাবিদ্যালয়ের সামনে। সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপিকা বলে পরিচিত যদি জ্যোতিকুমারী শর্মা রাস্তায় নেমে হঠাৎই পথচলতি মানুষ থেকে শুরু করে যানবাহন আটকে দেন। যা নিয়ে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায় সর্বত্র।

“আই ওয়ান্ট জাস্টিস” বলে চিৎকার করতে থাকেন সেই ভদ্রমহিলা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, রাস্তা দিয়ে চিকিৎসা করতে যাওয়া এক ব্যক্তির গাড়ি দীর্ঘক্ষন ধরে আটকে তার ওপর বসে থাকেন বালুরঘাট মহাবিদ্যালয়ের সেই অধ্যাপিকা। কিন্তু কেন হঠাৎ এই রকম ঘটনা ঘটল!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, এটা নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার কখনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের হাত কাটার ভয় দেখানো থেকে শুরু করে বালুরঘাট থানায় গিয়ে তাণ্ডব চালানোর নজির রয়েছে এই জ্যোতিকুমারী দেবীর বিরুদ্ধে।একাংশের দাবি, তিনি মানসিক রোগে ভুগছেন। আর তাইতো মাঝেমধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষজনকে অস্বস্তিতে ফেলে কলেজের বাইরে কিংবা ভেতরে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় তাকে।

জানা যায়, এদিন বালুরঘাট মহাবিদ্যালয়ের প্রফেসর কোয়াটারে জলের পাম্প চালানো নিয়ে বালুরঘাট মহাবিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর সঙ্গে বিবাদ বাধে অর্থনীতির এই অধ্যাপিকার। যার পরই এদিন কলেজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই সেই কর্মচারীর বাইক কলেজের ভেতরে আটকে ধরে বসে থাকেন এই শিক্ষিকা। ধীরে ধীরে কলেজ থেকে বাইরে বেরিয়ে মূল সড়কে যানবাহন আটকে ধরে থাকেন তিনি।

এমনকি হাতে লাঠি নিয়ে সকলকে তাড়া করতেও দেখা যায় তাঁকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বালুরঘাট মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের একাধিক সদস্যরা রাস্তায় নামলেও তাদেরকেও লাঠি দিয়ে তারা করা হয় বলে অভিযোগ। মুহুর্তের মধ্যে গোটা বালুরঘাটবাসী এসে জড়ো হয় বালুরঘাট কলেজ মোড়ে। প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ আসলেও কারো কোনো কথাতেই গুরুত্ব দেননি সেই জ্যোতিকুমারী শর্মা। পথ চলতি অনেক মানুষই অভিযোগ করেন, এইভাবে রাস্তা আটকে কেন সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করা হচ্ছে!

অনেকে আবার পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেন। একাংশের দাবি, মহিলা সিভিক থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের দিয়ে একজন মহিলাকে আয়ত্তে আনা যাচ্ছে না! এদিকে অনেকে আবার সেই অধ্যাপিকার স্বপক্ষে থেকে কতৃপক্ষ অধ্যাপিকার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। আর তার কারণেই তিনি রাস্তায় নেমেছেন বলে অভিযোগ করেন।

আর একজন অধ্যাপিকার এহেন তাণ্ডবে রীতিমতো এদিন হকচকিয়ে যায় গোটা বালুরঘাটবাসী। সব মিলিয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যমন্ডিত দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষিকার এহেন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!