এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার ‘দুয়ারে সরকার’ কি আদতে বাম আমল থেকে অনুপ্রাণিত? জেলা সফরের আগেই উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন

মমতার ‘দুয়ারে সরকার’ কি আদতে বাম আমল থেকে অনুপ্রাণিত? জেলা সফরের আগেই উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাঁকুড়া সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে, ১লা ডিসেম্বর থেকে দুয়ারে দুয়ারে সরকার যাবে। আর এই কর্মসূচিকে ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ নাম দেওয়া হয় বলেও জানা যায়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে এর ফলে যাঁরা এখনও কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাননি, তাঁরা সেখানে গেলে সুবিধা পেয়ে যাবেন।

যার মধ্যে বলা হয়েছিল, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র, শিক্ষাশ্রী, জয় জোহার, তফসিলি বন্ধু, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী ও একশো দিনের কাজ— এই দশটি প্রকল্পের পরিষেবার কথা। তবে সম্প্রতি জানা গেছে, ‘দুয়ারে সরকার’ এই কর্মসূচি নিয়ে উত্তরবঙ্গে নেমে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

এই কর্মসূচিতে গ্রামে গিয়ে ক্যাম্প করে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে গ্রামবাসীদের অবগত করা হবে। আর এই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের স্বাক্ষর করা নির্দেশিকা জারি হয়ে গেছে বলেও জানা গেছে। তবে এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যে মমতার ‘দুয়ারে সরকার’ কি আদতে বাম আমল থেকে অনুপ্রাণিত?

জানা গেছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক ছিলেন আর এ ইজরায়েল। সেই সময়ে তিনিই প্রথম এই ‘দুয়ারে প্রশাসন’ ভাবনাটি চালু করেছিলেন। সেখানে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় যেতেন তিনি। আর সেখনে গিয়ে সরাসরি সরকারি পরিষেবা তুলে দিতেন বলেও জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেইসময় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম মহকুমায় মাওবাদী কার্যকলাপ নিত্যদিনের ঘটনা ছিল। সেই সঙ্গে হামেশাই লেগে থাকত খুন-সন্ত্রাস-নাশকতার ঘটনাও। এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর বঞ্চনাকে হাতিয়ার করেই সেখানকার প্রত্যন্ত এলাকায় মাওবাদীরা জনভিত্তি গড়ে তুলেছিল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সেইসময় এমন কাজ করে রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপর ২০০৮ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক করা হয় তাঁকে। কিন্তু তারপরেই ওই কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়। অতিরিক্ত জেলাশাসক হিসেবে সেই সময়ে মাওবাদী মদতপুষ্ট জনসাধারণের কমিটির সঙ্গে প্রশাসনের যোগ সূত্র হিসেবে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি।

কিন্তু ২০০৯ সালে হঠাৎ চাকরি ছেড়ে দিয়ে চেন্নাইয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর তৃণমূল সরকারের আমলে ২০১৭ সালে ঝাড়গ্রাম মহকুমাটি পৃথক জেলা হয়। আর এখানেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেইসময় যদিও ইজরায়েলের সেই উদ্যোগকে সেভাবে মান্যতা দেওয়া হয়নি। তবে মমতা সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি জঙ্গলমহলের পুরনো প্রশাসক ইজরায়েলের সেই কর্মসূচির কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!