এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বাম, কংগ্রেস, আব্বাসের সমাবেশকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ বিজেপি নেতৃত্বের

বাম, কংগ্রেস, আব্বাসের সমাবেশকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ বিজেপি নেতৃত্বের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল বামেদের বিগ্রেডে একমঞ্চে দেখা গেল বাম, কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীকে। মঞ্চ থেকে আব্বাস সিদ্দিকী জানালেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাম যেখানে প্রার্থী দেবে, সেখানে মাতৃভূমিকে রক্ত দিয়ে হলেও তাঁরা স্বাধীন করবেন। বিজেপি, তৃণমূলকে আক্রমণ করে তাঁর বিভিন্ন বক্তব্যের পর এ বিষয়ে তীব্র কটাক্ষ করলো বিজেপি শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গকে গ্রেটার বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত শুরু করেছে বাম, কংগ্রেস, আব্বাসের জোট।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, পশ্চিমবঙ্গকে গ্রেটার বাংলাদেশ বানাতে চাইছে বাম, কংগ্রেস, আব্বাসের জোট। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানালেন যে, আব্বাস সিদ্দিকীর সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কাছে মাথানত করেছেন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর তাঁদের ইন্ধন দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তাঁর প্রশ্ন, বিজেপির রাজনীতিকে যদি এরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বলে থাকেন, তাহলে আব্বাসের রাজনীতি কি?

আবার রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার জানালেন যে, আজকে যারা মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার কথা বলছেন, তাঁরা মানসিকভাবে বুঝিয়েই দিচ্ছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের কোনো পার্থক্য নেই। পশ্চিমবঙ্গকে ভারতের অঙ্গ বলেই মনে করছেন না তাঁরা। ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা করার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। তিনি প্রশ্ন করেছেন, কোন মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার কথা বলেছেন আব্বাস সিদ্দিকী? ভারতবর্ষই আমাদের মাতৃভূমি। সেখানে একটা মৌলবাদী ইসলামিক দল, তার উত্থানের পেছনে আছে সিপিএম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি অভিযোগ করেছেন, সিপিএম একদিকে কেরালাতে মুসলিম লীগের সঙ্গে সখ্যতা করছে। যে মুসলিম লীগ ভারত ভাগের জন্য দায়ী, সেই মুসলিম লীগকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উৎখাত করে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। সেই মুসলিম লীগের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সিপিএম কেরালায়। পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু মুসলিম লীগ নেই, সেজন্য ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রণ্টের নামে আরেকটি মৌলবাদী ইসলামীক দলকে তুলে এনেছে তারা। তাঁদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন পার্থক্য নেই।

জয়প্রকাশ মজুমদার এ প্রসঙ্গে আরও জানালেন যে, এখানে মনে রাখা দরকার যে, এই ব্রিগেডের পর তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় একটি কথা বলেছেন, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁরা চান এই জোট যেন ভোট পায়। সিপিএম যেন তার ভোট ফেরত পায়। আর সেটা যদি হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে আবার ফেরত আসবেন ক্ষমতায়।

তিনি জানালেন, এই জোট হচ্ছে তৃণমূলের দ্বিতীয় শরিক জোট। যারা চান, যেভাবেই হোক ভোটের অংকতে সিপিএম যদি হারানো ভোট ফেরত পায়, বিজেপির ভোট যদি কাটতে পারে, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহজেই আবার ক্ষমতায় আসবেন। তাই বিজেপি বিরোধী একটা চিত্রনাট্য তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণভাবে রাজ্যের মানুষ তাতে সাড়া দেবেন না। তিনি জানান, মৌলবাদী রাজনৈতিক দলকে উত্থান এর রাস্তা দেখালো সিপিএম। বাংলার রাজনীতির জন্য যা অশনিসংকেত।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!