এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বাম-কংগ্রেস কি আলাদা হতে চলেছে? সিপিএম নেতার ফেসবুক পোস্টে ক্ষুন্ন বিধান ভবন!

বাম-কংগ্রেস কি আলাদা হতে চলেছে? সিপিএম নেতার ফেসবুক পোস্টে ক্ষুন্ন বিধান ভবন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপিকে সরাতে 2016 সালের পর 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিল বাম-কংগ্রেস। যেখানে আব্বাস সিদ্দিকীর দলকেও জায়গা দিয়েছিল তারা। কিন্তু ফলাফল ভালো হয়নি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনও দখল করতে পারেনি বাম-কংগ্রেস। বিধানসভায় তাদের শূন্য প্রতিনিধি। আর এই পরিস্থিতিতে জোট করে আদৌ কোনও লাভ হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে আলোচনা‌।

সামনেই একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন রয়েছে। ফলে সেখানে বাম-কংগ্রেস জোট করে প্রার্থী দেবে, নাকি পৃথক পৃথকভাবে লড়াই করবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। আর এই পরিস্থিতিতে বিগত সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া সাঁইবাড়ি হত্যাকান্ড নিয়ে হেভিওয়েট সিপিএম নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের একটি ফেসবুক পোস্টে জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি হতে শুরু করল। যেখানে সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

স্বাভাবিকভাবেই জোটপর্ব থাকা সত্ত্বেও কেন শরিক দল কংগ্রেসকে এভাবে আক্রমণ করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা। এমনকি এই ব্যাপারে সিপিএম নেতার ফেসবুক পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বিবৃতি দাবি করেছে তারা। স্বাভাবিক ভাবেই বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের একটি ফেসবুক পোস্ট বাম এবং কংগ্রেসের সম্পর্কে বড় ফাটলের জায়গা নিল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। যদি সিপিএমের পক্ষ থেকে যথাযোগ্য কারণ দেখানো না হয়, তাহলে কংগ্রেস এই জোট থেকে বেরিয়ে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাম কংগ্রেসের সম্পর্ক কোনোকালেই ভালো ছিল না। কিন্তু অস্তিত্ব সংকটে পড়ে 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে তারা জোট করেছে। যা দেখে অনেকেই হতবাক হয়ে গিয়েছিল। এমনকি তৃনমূলের পক্ষ থেকে কংগ্রেস কি করে সিপিএমের সঙ্গে জোট করতে পারে, তা নিয়ে তোলা হয়েছিল প্রশ্ন। যেখানে বিগত বাম সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনায় কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা শহীদ হয়েছেন, সেখানে সেই কংগ্রেস কিভাবে রক্তমাখা হাত সিপিএমের সঙ্গ নিতে পারে, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিল।

আর 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের পরে দুই দল যখন কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সাঁইবাড়ি হত্যাকান্ড নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করল। যেখানে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে দেখা গেছে বিকাশবাবুকে। নিজের ফেসবুক পোস্টে “কংগ্রেসী গুন্ডা” বলে সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

আর এই মন্তব্য নিয়েই আপত্তি তুলেছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। যেখানে সিপিএমের পক্ষ থেকে বিকাশবাবুর এই মন্তব্যকে অনুমোদন দেওয়া হয় কিনা, তা নিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেসের এই ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে এখন যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মরিচঝাঁপি থেকে শুরু করে সাঁইবাড়ি, সেই সময়কার আন্দোলনে তৃণমূল বলে কোনো দলের অস্তিত্ব ছিল না। তখন কংগ্রেসের সঙ্গেই প্রধান লড়াই হত বামেদের। কিন্তু সেই কংগ্রেস যে কোনো সময়ে বামেদের সঙ্গে জোট করবে, তা দুঃস্বপ্নেও কেউ কল্পনা করতে পারেননি। তবে রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু হয় না। তাই 2016 সালে বাম এবং কংগ্রেসের জোট দেখেছে রাজ্যবাসী‌। 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তা প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে বাংলার মানুষকে। তবে ফলাফল ভালো হয়নি বাম-কংগ্রেস জোটের।

আর এই পরিস্থিতিতে অতীতের সাইবাড়ির ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করে যেভাবে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, তাতে ব্যাপক আপত্তি তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। জোট থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এই রকম মন্তব্য করা যায় এবং এভাবে কংগ্রেসকে আক্রমণ করা যায়, তা নিয়ে আপত্তি তুলতে শুরু করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। স্বাভাবিক ভাবেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের কাছে বিকাশবাবুর এই মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেস কি বিবৃতি দেয়, আর তার পরিপ্রেক্ষিতে কি বলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

তবে একাংশ বলছেন, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এই ধরনের মন্তব্য করবার জন্য সূর্যকান্ত মিশ্রের কাছে চিঠি পাঠিয়ে বিকাশবাবুর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরতে চাইল কংগ্রেস। তবে সিপিএম সেই ব্যাপারে কতটা রাজি হয় এবং যদি এই ব্যাপারে সিপিএমের বক্তব্য কংগ্রেসের কাছে মন পছন্দ না হয়, তাহলে কংগ্রেস- বামেদের জোটে বড় চিড় ধরার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!