এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বাম-কংগ্রেস প্রতিনিধি শূন্য হয়ে কি বিপদ বেড়েছে তৃণমূলের? তৃণমূল নেতার বক্তব্যে বাড়ছে জল্পনা

বাম-কংগ্রেস প্রতিনিধি শূন্য হয়ে কি বিপদ বেড়েছে তৃণমূলের? তৃণমূল নেতার বক্তব্যে বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম বিধানসভায় কোনো প্রতিনিধি পাঠাতে পারেনি বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। জোট গঠন করেও আসন সংখ্যা তাদের শুন্য। বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের কোন প্রতিনিধি না থাকায় আক্ষেপ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, কেউ শূন্য হয়ে যাক, তা তিনি চাননি। বিজেপির চেয়ে কিছু বাম, কংগ্রেস বিধায়ক থাকলে ভাল হত। এবার আবার এমন কথা বলতে শোনা গেল তৃণমূলকে।

তৃণমূলের পরিষদীয় বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে জানানো হলো যে, বিরোধীদল হিসেবে সিপিএম ও কংগ্রেস অনেকটা রীতিনীতি মেনে চলত। কিন্তু বিজেপি এসরের ধার ধারে না। প্রসঙ্গত, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাস হয়েছে বিধানসভায়। এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৯৬ জন, বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৬৯ জন। তবে, বিধান পরিষদ গঠন কতটা যুক্তিযুক্ত? তা নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিধান পরিষদ গঠনের যুক্তিকতা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ জানিয়েছেন যে, করোনা সংক্রমণ কালে বিধান পরিষদ গঠন করে বাড়তি খরচ করার কী প্রয়োজন? দলের বিধায়কদের উপরে কি তৃণমূলের ভরসা নেই? আবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী জানিয়েছেন যে, বিধান পরিষদ থাকার অর্থ হলো সাদা হাতি পোষা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, বিভিন্ন দলের যে সমস্ত নেতাদের সাধারণ মানুষ
সড়িয়ে দিয়েছেন, তাঁদেরকে গুরুত্ব দেবার জন্য এই বিধান পরিষদের প্রস্তাব আনা হয়েছে।

এর পাল্টা হিসেবে তৃণমূলের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায় জানিয়েছেন যে, বিধান পরিষদের গুরুত্ব অনেকেই বোঝেন না। বিধানসভায় বাম ও কংগ্রেস প্রতিনিধি শুন্য, যা গণতন্ত্রের পক্ষে কাম্য নয়। এক ব্যক্তি, এক নেতা থাকা উচিত নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, বিজেপি যেমন এক দেশ, এক ভাষা, এক ধর্ম, এক দলের পথে চলতে চায়, তৃনমূল তা চায় না। তৃণমূল বৈচিত্রে বিশ্বাস করে। বিরোধীশূন্য তৃণমূল চায়না।তবে, তৃণমূলের এই বক্তব্যের সমর্থন করেনি বাম ও কংগ্রেস শিবির।

এ প্রসঙ্গে জনৈক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন যে, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ দখল করা, বাম, কংগ্রেস বিধায়ককে উন্নয়নে শামিল করার মতো ঘটনা না ঘটালে তৃণমূলের এসব কথার যুক্তিকতা থাকতো। আবার এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন যে, ভারতের মতো বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশে আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে জাতীয় স্তরের আইনসভাতে উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা থাকার প্রয়োজন আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য আইনসভাতে উচ্চকক্ষের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। বহু রাজ্যে বিধান পরিষদ তুলে দেয়া হয়েছে। অতিমারীর সময়ে এই ধরনের খরচ অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!