এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বাম-কংগ্রেস-সিদ্দিকীর মহাজোটে কি বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন? ব্রিগেডের পর কি বার্তা দিলেন মহাজোটের অংশীদারীরা?

বাম-কংগ্রেস-সিদ্দিকীর মহাজোটে কি বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন? ব্রিগেডের পর কি বার্তা দিলেন মহাজোটের অংশীদারীরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এ রাজ্যের বাম এবং কংগ্রেস শিবির জোট বেঁধেছিল এবারের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে। বাম এবং কংগ্রেস জোট যখন বেশ সহজভাবে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে, ঠিক তখনই আব্বাস সিদ্দিকীর তাঁর নতুন দল আইএফএস নিয়ে। বাম-কংগ্রেস জোটের সাথে মহাজোট তৈরি করার পরিকল্পনা শুরু হয়। কিন্তু খাতায় কলমে পরিকল্পনা হলেও সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার দিকে আসছে বেশ কিছু বাধা। যার কিছুটা আঁচ পাওয়া গেছে গতকাল ব্রিগেডের মঞ্চে। খুব স্বাভাবিকভাবে ব্রিগেডে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জের যে বাম-কংগ্রেস জোটের অন্দরমহলেও থাকবে সেকথা বলাই বাহুল্য।

অন্যদিকে ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে অধীর চৌধুরীর সামনে আব্বাস সিদ্দিকী যেভাবে বার্তা দিয়েছেন, তাই নিয়ে এবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু দিলেন কড়া বার্তা। এদিন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন, জোট করলে একই রকম কথা বলতে হবে সবাইকে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, আব্বাসের বক্তব্যকে বামেরা কোনমতেই সমর্থন করেনা।

 প্রসঙ্গত, গতকাল ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের আব্বাস সিদ্দিকী উচ্চস্বরে দাবি করেন, তিনি ভাগিদারী চাইতে এসেছেন। কোন তোষণের রাজনীতি করতে তিনি আসেননি। পাশাপাশি বাম প্রার্থীদের তিনি যে 100% সমর্থন জানাবেন, সে কথাও বলেন। আব্বাসের এই বক্তব্যের রেশ ধরেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, কংগ্রেসের প্রার্থীদের কি তাহলে আব্বাস সমর্থন দেবেন না? খুব স্বাভাবিকভাবেই মঞ্চে থাকা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আব্বাসের এই কথাকে যে ভালো ভাবে মেনে নেওয়া হয়নি তা অধীর চৌধুরীর বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। অধীর চৌধুরী এ দিন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মালদা, মুর্শিদাবাদের আসন ছাড়া হবেনা। কারণ, এই দুটি কংগ্রেসের জেতা আসন। অন্যদিকে আব্বাসের গতকালের বক্তব্যকে বামেরা যে সমর্থন করেনা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এই বার্তা দেওয়ার পর মহাজোট সমীকরণে বড়সড় বাধা আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অধীর চৌধুরী থেকে বিমান বসু প্রত্যেকেই মেনে নিয়েছেন, বাম-কংগ্রেস জোটের মধ্যে নতুন সঙ্গী আসায় আলোচনা কিছুটা থমকে গিয়েছে। তবে প্রত্যেকেই আশা রাখছেন, জোটের মধ্যে থাকা যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হবে আলোচনার মাধ্যমে। অধীর চৌধুরী এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, কাল-পরশুর মধ্যেই প্রথম দফা ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে অবশ্য কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের অনুমোদন প্রয়োজন। 

অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে অধীর চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছেন, 92 টি আসনের পর থেকে আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে তাঁরা আলোচনায় বসতে পারেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকীর প্রথম থেকেই কিছুটা অমিল লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু গতকাল ব্রিগেডের মঞ্চে যা হল তা বাম-কংগ্রেস-সিদ্দিকীর মহাজোটে বড় প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত এই সমস্যার সমাধান কি আদৌ হবে, তা নিয়ে থাকছে প্রশ্ন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!