এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বাম কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে আগ্রহী আব্বাস সিদ্দিকী

বাম কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে আগ্রহী আব্বাস সিদ্দিকী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এ রাজ্যের ভোট ব্যাংকের অন্যতম শক্তি হল সংখ্যালঘু ভোট। এতদিন যাবৎ এই সংখ্যালঘু ভোট আয়ত্তে ছিল রাজ্যের শাসকদলের। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী নিজস্ব দল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট তৈরি করেছেন। এদিকে আব্বাসের সঙ্গে জোট বাঁধতে দল করার আগেই তাঁর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গেছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিম। তাঁদের নজর বাংলায় প্রথম থেকেই। মিমের লক্ষ্য বাংলায় আধিপত্য বিস্তার করা। সেক্ষেত্রে আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে হাত মেলানো প্রায় পাকা ছিল তাঁদের। কিন্তু মাঝপথে মীমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল করলেন আব্বাস সিদ্দিকী। পাশাপাশি আব্বাস এবার বাম কংগ্রেস জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

অন্যদিকে বাম কংগ্রেস জোট আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে জোট গড়ে লড়াইতে নামতে আগ্রহী। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, আব্বাস সিদ্দিকীর হাত ধরে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের ওপর আধিপত্য বিস্তার করাই বাম কংগ্রেসের বর্তমান লক্ষ্য। তবে বাম কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকী হাত মেলানোয় মিম কিন্তু এ রাজ্যে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ইতিমধ্যেই আব্বাসের সঙ্গে জোট চেয়ে কংগ্রেস সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি লিখেছেন বলে জানা গিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ ব্যাপারে খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত এই জোট যে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছে তা বলা যাচ্ছেনা। কারণ, বামেরা আব্বাসকে শুধু কুড়িটি আসন ছাড়তে রাজি। সেক্ষেত্রে আব্বাসের দাবি, 40 টি আসন। এদিকে বাম কংগ্রেসের হাতে রয়েছে 101 টি আসন যেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আর এই 101 টি আসনের মধ্যেই আব্বাস সিদ্দিকীকেও জায়গা করে দিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আব্বাস প্রথম থেকেই এ রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপিকে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলে বর্ণনা করে আসছেন।

যা অনেকটাই মিলে যায় বাম-কংগ্রেস জোটের মতামতের সঙ্গে। আর তাই আব্বাসের সঙ্গে জোটে যেতে আগ্রহী কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব। সে ক্ষেত্রে সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী কি মতামত দেন সে দিকেই নজর সবার। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে বাম কংগ্রেস জোট হলে রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটের ওপর ভর করে বাম কংগ্রেস জোট শক্তিশালী হবার দিকেই এগোচ্ছে। সেক্ষেত্রে এবারও চাপের মুখে পড়তে চলেছে রাজ্যের শাসক দল বলে মনে করা হচ্ছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!