বাম রাজনীতি করা সত্ত্বেও তৃণমূলের মুখপত্রে ধরলেন কলম, কার্যত এই নিয়ে বাড়ছে জল্পনা তৃণমূল বামফ্রন্ট রাজনীতি রাজ্য July 29, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে একটি নতুন বিতর্ক। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মোদী বিরোধিতার ক্ষেত্রে বিরোধী শক্তিগুলিকে একজোট করতে দিল্লি হাজির হয়েছেন, তখন তৃণমূলের মুখপাত্র জাগো বাংলায় এমন একজনের লেখা প্রকাশ পেয়েছে যিনি রাজনৈতিক জগতে পরিচিত বামমনোভাবাপন্ন বলে। পাশাপাশি তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে রাজনৈতিক জগতে। তিনি হলেন প্রয়াত সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাসের কন্যা অধ্যাপক ডঃ অজন্তা বিশ্বাস। জাগো বাংলায় তাঁর লেখা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বাংলার রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি এবার অজন্তা বিশ্বাস নাম লেখাতে চলেছেন তৃণমূলে? প্রয়াত বাম নেতা অনিল বিশ্বাসের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক দূরত্ব যে কয়েক যোজন ছিল, তা সবার জানা। সে জায়গায় তৃণমূলের মুখপত্রে অনিল বিশ্বাসের কন্যার লেখা আসা কার্যত বিতর্কের জন্ম দেবে বলেই আশা করা যায়। অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই পরিস্থিতিতে যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়েও শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। গত 21 শে জুলাই থেকে তৃণমূল মুখপত্র জাগো বাংলা নিয়মিত সংবাদপত্রের জায়গা নিয়েছে। আর সেই কাগজে গতকাল ‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি’ নামক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। আর এই নিবন্ধ লেখার জন্য কলম ধরেছিলেন উল্লেখযোগ্যভাবে অজন্তা বিশ্বাস। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ঐ লেখার দ্বিতীয়াংশ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাসকে নিয়ে এই মুহুর্তে তীব্র চর্চা রাজনৈতিক মহলে। দীর্ঘদিন যাবৎ বাম ছাত্র রাজনীতি করে এসেছেন তিনি। এবার তিনি তৃণমূলে নাম লেখাতে চলেছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন, শুধু শুধু বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। লেখার মধ্যে রাজনীতি খোঁজার চেষ্টা না করার কথাই তিনি জানিয়েছেন। তবে পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে যারা ইচ্ছুক, এটা তাদের একটা পদক্ষেপ। কার্যত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর থেকে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার পারদ আরও চড়েছে। অন্যদিকে অজন্তা বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা যাচ্ছে, অজন্তা বিশ্বাসের লেখা যে জাগো বাংলায় প্রকাশিত হবে, তা তিনি জানতেন না। সব মিলিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে যখন বিরোধীরা একজোট হচ্ছে ধীরে ধীরে, সে সময় অজন্তা বিশ্বাসের এই পদক্ষেপ কোন নতুন সমীকরণ তৈরি করছে কিনা তা নিয়েই ক্রমাগত কৌতূহলের পারদ চড়ছে। আপনার মতামত জানান -