এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বঞ্চনার শিকার হেভিওয়েট বিধায়ক, অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে মমতার চাপ বৃদ্ধি! শোরগোল রাজ্যে!

বঞ্চনার শিকার হেভিওয়েট বিধায়ক, অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে মমতার চাপ বৃদ্ধি! শোরগোল রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় বারের জন্য 213 টি আসন পেয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে 77 টি আসন পেয়ে রাজ্যে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভোটের আগে সংযুক্ত মোর্চা নাম দিয়ে জোট গঠন করা সত্ত্বেও তারা উল্লেখযোগ্য ফলাফল করতে পারেনি। সেদিক থেকে বাম এবং কংগ্রেস এবারের বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য আসন পেয়েছে। তবে প্রথমবার দল গঠন করে নির্বাচন লড়া আইএসএফ অবশ্য একটি আসন দখল করেছে।

ভাঙ্গড় বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছেন আব্বাস সিদ্দিকীর দলের প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকী। সেদিক থেকে সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে তিনিই একমাত্র বিধায়ক। তবে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরুর আগে অধ্যক্ষ সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেও, সেখানে তৃণমূল এবং বিজেপির বিধায়কদের ডাকা হলেও, সংযুক্ত মোর্চার তথা আইএসএফের বিধায়ককে কেন ডাকা হল না, এখন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন নওশাদ সিদ্দিকী। যেখানে বঞ্চনার কথা তুলে ধরে সরাসরি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী জুলাই মাসের 2 তারিখ থেকে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তাই তার আগে এদিন সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই দলের বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে আর এক বিরোধীদলের পক্ষ থেকে জয়লাভ করা নওশাদ সিদ্দিকীকে কেন এই বৈঠকে ডাকা হল না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। আর তাই সরাসরি অধ্যক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে এই বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন ভাঙ্গড়ের বিধায়ক।

বলা বাহুল্য, অতীতে বারবার বিধানসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিরোধীদের পক্ষ থেকে শাসকদলের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এবার রাজ্য বিধানসভার অভ্যন্তরীণ সমীকরণ অনেকটাই আলাদা হয়ে গিয়েছে। যেখানে 77 টি আসন দখল করা ভারতীয় জনতা পার্টি প্রতিমুহূর্তে 213 টি আসন দখল করা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। বাম এবং কংগ্রেসের কোনো প্রতিনিধি নেই এবার রাজ্য বিধানসভায়। তবে জোট গঠন করে লড়াই করা আইএসএফের টিকিটে জয়লাভ করে রাজ্য বিধানসভায় একটি প্রতিনিধি পাঠাতে সক্ষম হয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। কিন্তু সেই প্রতিনিধিকে সর্বদলীয় বৈঠকে না ডাকার কারণেই এবার রীতিমতো বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হলেন নওশাদ সিদ্দিকী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এদিন এই ব্যাপারে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়েছেন ভাঙ্গড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। যেখানে তিনি লেখেন, “সংবাদমাধ্যম সূত্রে সর্বদলীয় বৈঠকের কথা জানতে পেরেছি। সোমবার বিধানসভায় সেই বৈঠক হয়েছে। তবে বিধানসভায় সংযুক্ত মোর্চার একজন প্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও এই বৈঠকের বিষয়ে এখনও কোনো অফিশিয়াল ইমেইল পাইনি।” আর এখানেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, যেখানে বৈঠকটি সর্বদলীয় সেখানে কেন আইএসএফের বিধায়ককে সেই বৈঠকে ডাকা হল না! তাহলে কি একজন বিধায়ক বলে তাকে গুরুত্ব দেওয়া হল না? এখন এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছে একাংশ।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আইএসএফের এই বিধায়ক সর্বদলীয় বৈঠকে তাকে অংশগ্রহণ না করানোর ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে অধ্যক্ষকে চিঠি দেওয়ার পর রীতিমতো চাপে পড়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে এই ব্যাপারে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!