এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > বামেদের বন্ধ ব্যর্থ করতে কড়া নির্দেশিকা সরকারের, জেনে নিন!

বামেদের বন্ধ ব্যর্থ করতে কড়া নির্দেশিকা সরকারের, জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বৃহস্পতিবার বামেদের ছাত্র এবং যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযান করা হয়েছিল। আর সেই অভিযানকে কেন্দ্র করে রীতিমত ধুন্দুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। মূলত পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জ করা হলে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে চেহারার এলাকা। আর এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে শুক্রবার রাজ্যে 12 ঘন্টার বাংলা বন্ধের ডাক দেয় সিপিএমের ছাত্র যুব সংগঠন।যাকে সমর্থন করে বামফ্রন্ট।

তবে নির্বাচনের আগে এই বন্ধকে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে হালকাভাবে নেওয়া হবে, নাকি কঠোরভাবে তা দমন করা হবে, তার দিকে নজর ছিল সকলেরই। অবশেষে বামেদের পক্ষ থেকে বনধের ঘোষণা হতে না হতেই তা কড়া হাতে দমন করার বার্তা শোনা গেল সরকারের গলায়। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হয়েছে।

যেখানে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার বনধের দিন সরকারি অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক। আর যদি কেউ অফিসে না আসেন, তাহলে তাদের কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ চলে যাবে। কাটা যাবে বেতন। অর্থাৎ অতীতের মতই রাজ্য সরকার যে কোনোভাবেই এই বনধকে সমর্থন করবে না, তা বুঝিয়ে দিল নবান্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, যেহেতু বিজেপির বিরোধিতা বারবার বামেদের সাহায্য প্রার্থনা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই বামেরা রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে এই বনধ ডাকলেও, তার প্রতি নমনীয় মনোভাব পোষণ করতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু কর্মনাশা বনধকে যে তারা কোনোভাবেই বরদাস্ত করবেন না, তা আরও একবারেই বিজ্ঞপ্তির মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট করে দিল রাজ্যের তৃণমূল সরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে শুধুমাত্র অফিস কাছারিতে হাজিরা বাধ্যতামূলক নয়, যাতে সমস্ত রকম পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখা যায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের অসুবিধা যাতে না হয়, তার জন্য সমস্ত সরকারি বাস এবং লোকাল ট্রেন চালানোর কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ বামেদের ডাকা বনধকে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ করতে রীতিমত ময়দানে নেমে পড়বে রাজ্য প্রশাসন।

অনেকে বলছেন, বামেরা এই বনধ ডাকলেও তা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে দিনের শেষে অংক কষা যাবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে প্রধান লড়াই হচ্ছে, তখন করোনার মধ্যে লকডাউনে থাকা গৃহবন্দী মানুষ বামেদের এই বনধ কতটা মেনে চলবেন, তা যথেষ্ট সংশয়ের বিষয়। সব মিলিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বামেদের ডাকা বনধকে ব্যর্থ করার চেষ্টা হলেও, শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় গোটা পরিস্থিতি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!