এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কোথাও বাসে আগুন, কোথাও ধর্মঘটীদের পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি – সব মিলিয়ে কেমন গেল বনধের প্রথম দিন?

কোথাও বাসে আগুন, কোথাও ধর্মঘটীদের পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি – সব মিলিয়ে কেমন গেল বনধের প্রথম দিন?


গতকাল থেকে দু’দিনব্যাপী সারা দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম ও বিভিন্ন দক্ষিণপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলি। প্রবল বিজেপি বিরোধিতায় কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এই বনধের ডাক দেওয়া হলেও সেই ধর্মঘটকে ব্যর্থ করতে ও রাজ্যকে সচল রাখতে প্রথম থেকেই উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন।

কিন্তু নবান্নর পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও শেষ পর্যন্ত এরাজ্যে বামেদের প্রথম দিনের ধর্মঘটে বিক্ষিপ্ত অশান্তি এড়ানো গেল না কিছুতেই। হাজরা মোড় দিয়ে শুরু এই গন্ডগোল গোটা রাজ্য জুড়ে ব্যাপক আকার ধারণ করে। জানা যায়, এদিন সকালে পুলিশের সঙ্গে হাজরা মোড়ে খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় বনধ সমর্থনকারীদের। রাস্তায় বসে অবরোধ করতে থাকেন তাঁরা। পরে সেই হাজরা মোড়ে বাম শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে একটি মিছিল আসলে তা আটকে দেয় পুলিশ। আর সেখানেই বাঁধে ধুন্ধুমার কাণ্ড।

হাজরা মোড় থেকে বহু ধর্মঘটীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বামেদের অভিযোগ, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করছিলেন। কিন্তু পুলিশ এসে তা ভেস্তে দেয়। অন্যদিকে এদিন কসবায় এই ধর্মঘটের সমর্থনে সিপিএমের কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা দেওয়ায় নিজের ক্ষোভ উগরে দেয় সিপিএমের যুব সংগঠনের নেতা শতরূপ ঘোষ।

পুলিশের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “ক্ষমতায় এলে ওই পুলিশ অফিসারকে এই কসবাতেই কান ধরে উঠবস করানো হবে।” অন্যদিকে এদিন সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সকাল 7 টা 55 মিনিটে যাদবপুরে বনধ সমর্থনকারীদের উদ্যোগে একটি মিছিল হলে সেখান থেকে প্রচুর বনধ সমর্থনকারীদের সাথে সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সেই বামেদের পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকেও।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিন সিপিএমের এই বনধে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবহন ব্যবস্থা সচল রাখার কথা বলা হলেও বড়তলা থানার শোভাবাজার এলাকায় বেসরকারি রুটের বাসের তলায় বনধ সমর্থনকারীদের পক্ষ থেকে আগুন ছুড়ে দেওয়া হয়। যার জেরে এলাকায় প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে এই বনধের জেরে এদিন স্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পড়ুয়াদের হাজিরা ছিল অনেক কম।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করে এসএফআই কর্মী সমর্থকরা সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকদের ভেতরে ঢুকতে বাধাদান করেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে অন্যান্য দিনের থেকে এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ুয়াদের উপস্থিতি খুব একটা সন্তোষজনক ছিল না।

তবে এই বনধে গন্ডগোলের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া বনধ সমর্থনকারীদের লালবাজারে সেন্ট্রাল লকাপে রাখা হলে রাতে এসইউসির কর্মী-সমর্থকরা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নিলেও বামেরা অবশ্য সেই পথে যায়নি। পরে নিঃশর্তে পুলিশের পক্ষ থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। সব মিলিয়ে বাম ও দক্ষিণপন্থী বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ডাকা ধর্মঘটে প্রথম দিন মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল এরাজ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!