এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বন্দী টিমপিকের সদস্যদের মুক্ত করতে বিশেষ পদক্ষেপ তৃণমূলের,বিজেপিকে কোণঠাসা করার তীব্র প্রচেষ্টা

বন্দী টিমপিকের সদস্যদের মুক্ত করতে বিশেষ পদক্ষেপ তৃণমূলের,বিজেপিকে কোণঠাসা করার তীব্র প্রচেষ্টা

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ত্রিপুরার আগরতলার হোটেলে বন্দী প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক সংস্থার ২৩ জন সদস্যকে মুক্ত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নিলো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। সেইসঙ্গে এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ জানালো তৃণমূল। গতকাল দিল্লি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আজ আইপ্যাক সংস্থার সদস্যদের মুক্ত করতে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দিল তৃণমূলের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল। যেখানে আছেন রাজ্যের দুজন মন্ত্রী ও একজন প্রাক্তন সাংসদ।

আজ ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরায় গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন ও তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে কথা বলবেন তাঁরা। কেন এভাবে আটকে রাখা হয়েছে আইপ্যাক সদস্যদের? এ প্রসঙ্গে ত্রিপুরার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তারা করোনা বিধি ভঙ্গ করেছেন, এ কারণেই তাদের হোটেলে রাখা হয়েছে।

তবে, আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যা করা হয়েছে রুটিন চেকআপের কারণেই করা হয়েছে। তবে টিম পিকের অভিযোগ আগরতলাতে তাদের হোটেলের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের প্রায় গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তাদের সকলের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এদিকে ২১ সে জুলাই শহীদ দিবস পালনের দিনেও করোনা বিধি অমান্য করার অভিযোগে বেশকিছু তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যে ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব জয়লাভের পর এবার ত্রিপুরা দখলের লক্ষ্য নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। যে উদ্দেশ্যে সমীক্ষা করতে ত্রিপুরা যেতে দেখা যায় প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক সংস্থার সদস্যদের। যদিও, করোনার বিধি নিষেধ জারি থাকার কারণে তাদের আটকে রাখা হয়েছে আগরতলার হোটেলে, তবে এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু করে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ জানাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

ঘটনাটিকে জাতীয় রাজনীতিতে ছড়িয়ে দেবার সিদ্ধান্ত রয়েছে তৃণমূলের। যার ফলে একদিকে যেমন বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ আনা যাবে, তেমনি ত্রিপুরাতে বাড়তি অক্সিজেন দেওয়া যাবে তৃণমূল দলকে। এই পরিকল্পনাতেই আজ ত্রিপুরা রওনা দিচ্ছেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আগামীকাল ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরায় দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল যে মরিয়া হয়ে উঠেছে, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে তৃণমূলের এই পদক্ষেপ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!