এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > বঙ্গ রাজনীতিতে তৃণমূল-বিজেপি মেরুকরণ স্পষ্ট? অনেক পিছিয়ে বাম-কং জোট? মত খোদ কংগ্রেস নেতার?

বঙ্গ রাজনীতিতে তৃণমূল-বিজেপি মেরুকরণ স্পষ্ট? অনেক পিছিয়ে বাম-কং জোট? মত খোদ কংগ্রেস নেতার?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট দলকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল। আর কংগ্রেসের ফলও যথেষ্ট খারাপ হয়েছিল। গত, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় দুটি আসন তাদের হারাতে হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের পর তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট দুই রাজনৈতিক দলকে জোটবদ্ধ হবার বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী কংগ্রেস ও বাম জোটের বিষয়ে সদ্যপ্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অবদানকে বিশেষ ভাবে স্বীকার করে নিয়েছেন।

কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে জানান, ” সোমেনদা যখন বেঁচে ছিলেন তখন থেকেই তিনি বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসকে একমঞ্চে আনার কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। আমাকে নিয়েই কাজে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সঙ্গে কথা বলতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে ই পাঠিয়ে ছিলেন।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান যে, সোমেন বাবু নিজে উদ্যোগী হয়ে বাম- কংগ্রেসের জোটকে ব্লক স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, জেলা সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে। একেবারে ব্লক স্তরে বাম-কংগ্রেস কর্মীদের হাতে হাত ধরে আন্দোলনে শামিল হতে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন।

প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর বাম-কংগ্রেসের জোট প্রক্রিয়া অনেকটা যে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে, সে কথা স্বীকার করে নিলেন বাম পরিষদের দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। এ প্রসঙ্গে বাম পরিষদের সদস্য ও সেইসঙ্গে চাকুলিয়া ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক ইমরান আলি রামজ জানিয়েছেন, ” আমরা যে কেবল ভোটের সময় একসঙ্গে নেই। রাজনৈতিক আন্দোলনের সময়ও একসঙ্গে আছি এই বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তবেই সাফল্য পাওয়া যাবে। আশা করি শীর্ষ নেতৃত্ব এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত শুক্রবার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা ড. সুজন চক্রবর্তীকে বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা ও সেইসঙ্গে আমতার বিধায়ক অসিত মিত্র জানালেন যে, রাজ্যের ভোটারদের দুই মেরুতে স্পষ্ট মেরুকরণ সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই এই বিষয়ে দুই দলকে সতর্ক হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামতে হবে। না হলে দুই দলের এই রাজনৈতিক জোটের বিশেষ কোনো লাভ হবে না।

এ প্রসঙ্গে বিধায়ক অসিত মিত্র জানালেন, ” গত লোকসভা নির্বাচনে পৃথক লড়াই করে বাম-কংগ্রেস পক্ষই পৃথক লড়াই করে দেখেছে পরিস্থিতি কি। হবে তৃণমূল ও বিজেপি ভোট ব্যাংকের স্পষ্ট মেরুকরণ চাইছে, এখনই পরস্পরের হাত ধরে ভোটারদের মধ্যে বার্তা না দিতে পারলে বিধানসভায় শোচনীয় ফল হবে বাম কংগ্রেসের।”

তৃণমূল ও বিজেপি সম্পর্কে তিনি আরও জানালেন যে, তৃণমূল ও বিজেপি দল মেরুকরণের লাভ সম্পূর্ণ নিতে চায়। কিন্তু বাম ও কংগ্রেস যে কোনো সামাজিক বিভিন্ন বিভাজন চায় না, সে কথা স্পষ্ট করে জানাতে হবে জনগণকে। তবেই বিধানসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য করা সম্ভব হবে। এ কারণেই তিনি আব্দুল মান্নানও সুজন চক্রবর্তীকে এবিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। তাঁর আশা, ” আব্দুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী দুজনেই রাজ্য নেতৃত্বে শীর্ষে রয়েছেন। এই দু’জন সঠিক বার্তা দু’পক্ষের নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। আমি তাদের কাছেই নিজের কথা বলেছি।”

তাই জোটের লড়াই যে অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে, সে কথা মেনে নিয়েছেন তাঁরা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!